নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫১ এএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮
তরুণদের সঙ্গে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আগামী ১৬ নভেম্বর বিকেল ৩টায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) আয়োজিত ‘লেটস টক’ নামক এই সংলাপভিত্তিক অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়েছে। হঠাৎ করে কেন এই অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হলো তা নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী তরুণদের স্বপ্নের কথা, স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কথা শুনবেন এবং নতুন প্রজন্ম ও বাংলাদেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রত্যাশার কথা বলবেন এমন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু গতরাতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই অনুষ্ঠানটি স্থগিত করে দেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু দেশের প্রধান নির্বাহী, সেহেতু নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে তাঁর মধ্যেই সচেতনতা সবচেয়ে বেশি। নির্বাচনী আচরণবিধির প্রতি তিনিই সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধাশীল। আচরণবিধি যাতে ভঙ্গ না হয় সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী এ মুহূর্তে ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানটি স্থগিত করে দিয়েছেন। কারণ, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮’ এর ১২ তম ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের পূর্বে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করিতে পারিবেন না।’
যদিও প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয়েছিল এ ধরনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো যোগসূত্র নেই তবুও তিনি নির্বাচনী আচরণবিধির প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছেন। যেহেতু নির্বাচনে আগের তিন সপ্তাহ এখনো শুরু হয়নি তাই প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন এই অনুষ্ঠান এখন আয়োজন করা ঠিক হবে না। পরবর্তী সময়ে ‘লেটস টক’ এ তরুণদের মুখোমুখি হবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি যদি নির্বাচনী আচরণবিধির প্রতি শ্রদ্ধা না দেখাই তাহলে অন্যরা পথ দেখবে কীভাবে?’
সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানটি স্থগিত করাই যুক্তিযুক্ত মনে করেছেন বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র ।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি ড. মঈন খান
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।
অবশেষে জিয়া পরিবার মুক্ত হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ঠিক কবে, কখন, কীভাবে এ পরিবর্তন হবে সে সম্পর্কে কেউ কোন সুনির্দিষ্ট ধারণা দিতে পারেনি। তবে বেগম খালেদা জিয়া বিএনপিতে পরিবর্তনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে নির্বাচিত হলেও দায়িত্বভার না নিতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সহ চার আইনজীবীকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। তবে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমন ইঙ্গিত দেন বিএনপিপন্থি এ আইনজীবী নেতা।