নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য পূর্ণোদ্যমে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরই অংশ হিসেবে দলটির মনোনয়ন পত্র বিক্রি শেষ হয়েছে সোমবার। আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে এটি গণভবনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে গণভবনে। কিন্তু নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে, কারা কোন আসনে মনোনয়ন পাবেন তা কি আগে থেকেই নিশ্চিত হয়ে আছে? মনোনয়ন প্রত্যাশীদের এই সাক্ষাৎকার কি কেবলই আনুষ্ঠানিকতা?
আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, গত দেড় বছর ধরে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা করেছে। মাঠপর্যায়ে জরিপ করেছে, বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার মনোনীত ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলেছে। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে প্রার্থী কারা হবে আর বিএনপি নির্বাচনে আসলে প্রার্থী হবেন কারা এসব বিষয়ে যথেষ্ট হোমওয়ার্ক করেছে দলটি। এখন পর্যন্ত মোট ১২টি জরিপের কথা জানা গেছে যা আওয়ামী লীগ নিজস্ব উদ্যোগে আন্তর্জাতিক জরিপ প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরিচালনা করেছে। এত দীর্ঘ প্রস্তুতির পর কারা কোন আসনে মনোনয়ন পাবেন তা নিয়ে দলটিতে খুব বেশি সংশয় থাকার সুযোগ নেই। অথচ জানা গেছে, চার দিনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র বিক্রি হয়েছে মোট ৪ হাজার ২৩টি। মনোনয়ন পত্র বিক্রির এই ধুম দেখেই বোঝা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হতে বিশাল সংখ্যক মানুষের মধ্যে কী দারুণ উন্মাদনা বিরাজ করছে! প্রশ্ন উঠেছে, যদি মনোনয়ন আগে থেকেই খানিকটা নিশ্চিত করা থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘিরে এই উন্মাদনা কেন? এমন প্রেক্ষাপটে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার কি আসলে কোনো গুরুত্ব বহন করে নাকি এই সাক্ষাৎকার একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র?
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, মোটামুটি দুইশ আসনে আওয়ামী লীগ আগে থেকেই প্রার্থী ঠিক করে রেখেছে। এই আসনগুলোর জন্য এই সাক্ষাৎকারটি আনুষ্ঠানিকতার বেশি কিছু নয়। কিন্তু এখনো ৫০ থেকে ৭০টি আসনের ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এসব আসনে যদি ভালো প্রার্থী পাওয়া যায় তাহলে তাঁদের কথা বিবেচনা করবে আওয়ামী লীগ। এবার এমন অনেক ব্যক্তি মনোনয়ন কিনেছেন যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ভাবেনি কেউ। এই ব্যক্তিরা প্রার্থী হিসেবে নিঃসন্দেহে আকর্ষণীয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কথা। মাশরাফি নড়াইল- ২ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র কিনেছেন। অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উৎসাহেই তিনি মনোনয়ন পত্র কিনেছেন। চট্টগ্রাম-২ আসনের জন্য মনোনয়ন পত্র কিনেছেন তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম। মাশরাফি বা তানজীবের মতো ব্যক্তিদের মনোনয়নের ব্যাপারে আলাদা করে ভাবছে আওয়ামী লীগ।
সব বিবেচনায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার ৩০০ আসনের জন্য না হলেও কিছু আসনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রার্থীদের চিন্তাভাবনা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দেখে প্রার্থী বাছাই করতে চান। ভালো প্রার্থী পাওয়া গেলে এই আসনগুলোতে জরিপের ফলাফল বা তথ্যকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জুনাইদ আহমেদ পলক নাটোর তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক টানা তিনবারের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু রাজনীতিতে তার পদ পদবী তেমন নেই। রাজনীতিতে এখনও তিনি তরুণ এবং পিছনের সারির নেতা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন সময়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। কখনও বিতর্কিত হয়েছেন। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তার পরীক্ষা হলো এবার এবং সেই পরীক্ষায় তিনি শুধু কৃতকার্যই হননি, এ প্লাস পেয়েছেন বলেও অনেকে মনে করছেন।