নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৯ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধাপরাধী পরিবারগুলো তৎপর হয়ে উঠেছে। জামাত ও বিএনপি থেকে যুদ্ধাপরাধী মামলায় দণ্ডিত একাধিক ব্যক্তির পরিবার এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারা নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
যুদ্ধাপরাধী মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে পাবনা-১ আসন থেকে নির্বাচন করবে বলে জানা গেছে। বিএনপিকে তারা এ আসনটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেছে। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ছিল মঞ্জুর কাদের।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলেও চট্রগাম-৬ আসন থেকে বিএনপির টিকেটে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন চেয়েছে।
ফরিদপুরের একটি আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছে যুদ্ধাপরাধী মামলায় দণ্ডিত আলী হাসান মুজাহিদের ছেলে। এই আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ।
যুদ্ধাপরাধী মামলায় আজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত দেলোয়ার হোসেন সাইদীর ছেলে পিরোজপুরের একটি আসন থেকে নির্বাচন করবে বলে জানা গেছে। এছাড়াও যুদ্ধাপরাধী মামলায় দণ্ডিত কাদের মোল্লা, আবদুস সোবহান এবং মীর কাশেমের ছেলেরাও নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়ন চাইবেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠন যখন করা হয়েছিল, তখন বলা হয়েছিল তাদের সঙ্গে জামাতের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। অথচ যুদ্ধাপরাধী মামলায় দণ্ডিতদের সন্তানরা ঐক্যবদ্ধভাবে আবারও সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করছে। সেখানে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।