নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১২ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮
কোনো দাবি আদায় ছাড়াই বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি বিএনপির তৃণমূলের এক বিরাট অংশ। আজ দুপুরে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে তাণ্ডব তারাই ঘটিয়েছে বলে দাবি বিএনপির একটি অংশের। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বিনা উস্কানিতেই পুলিশের উপর হামলা চালায় বিএনপির একটি অংশ। তারা নির্বিচারে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। জানা গেছে, গত দুইদিন ধরেই বিএনপির একটি অংশ এভাবে নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে নেতৃবৃন্দের সমালোচনা করছিলেন। বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং রুহুল কবির রিজভী এভাবে নির্বাচনে যাবার ঘোর বিরোধী ছিলেন। তাদের কর্মীরা গত দুই দিন ধরেই নির্বাচন বিরোধী শ্লোগান দিচ্ছিল। কর্তব্যরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, ‘আমরা তাঁদের রাস্তার একটি অংশ ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করতেই তারা আমাদের উপর চড়াও হয়।’ অনুসন্ধানে জানা গেছে, নির্বাচন বানচালের জন্য একটি পরিস্থিতি সৃষ্টির আলাপ-আলোচনা বেশ কিছুদিন ধরেই বিএনপির মধ্যে ছিল। তারা চাইছিল একটা পরিস্থিতি তৈরি করতে। বিএনপির নির্বাচন বিরোধীদের পরিকল্পিত এই হামলা কতদূর গড়ায় তাই দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।