নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩২ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮
রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল আলোচিত এবং সমালোচিত হু. মু. এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা। বর্তমানে রাজনীতি থেকে বহুদূরে থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সক্রিয় হতে চান রাজনীতির মাঠে।
এরশাদের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর রাজনীতির মাঠে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে বহু চেষ্টা চালিয়েছেন বিদিশা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক কবি আবু বকর সিদ্দিকের বড় কন্যা বিদিশা সিদ্দিকী। এরশাদকে বিয়ে করার সুবাদে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। একসময় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টার পদও বাগিয়ে নেন। জাতীয় পার্টিকে তরুণ প্রজন্মের কাছে আকৃষ্ট করতে নানামুখী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টির রিসার্চ সেল খুলেন। যার মূল নেতৃত্বে ছিলেন বিদিশা। একসময়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতির নিয়ন্ত্রকও ছিলেন এই বিদিশা। কিন্তু বিধিবাম এরশাদ পরিবারের কেউ বিদিশার রাজনীতিতে আসার বিষয়টি সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি। এরশাদ পরিবার থেকেই এনিয়ে শুরু হয় গৃহবিবাদ। পরবর্তীতে বিদিশার সঙ্গে এরশাদের বড় স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদ এবং ভাই জি. এম. কাদের এর দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত রূপ নেয়। যার শেষ পরিণতি হয় এরশাদ-বিদিশা বিচ্ছেদ। এরশাদের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর জাতীয় পার্টির অভিমানী এবং ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভিন্ন প্লাটফর্ম করার চেষ্টা করেও সফল হননি বিদিশা। তবে বিদিশা ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন তিনি। বর্তমানে অসহায় এবং দু:স্থ নারীদের কল্যাণে কাজ করছে বিদিশা ফাউন্ডেশন। তবে এরশাদ-বিদিশা দম্পতির একমাত্র সন্তান এরিখ এরশাদ আদালতের নির্দেশনায় পালা করে দু’জনের কাছেই থাকছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর কিংবা রাজশাহীর যেকোনো একটি আসন থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছে রয়েছে বিদিশার। তবে কোন দলের হয়ে করবেন নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে করবেন তা এখনো ঠিক করেননি তিনি। বিদিশার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, এরশাদকে মোকাবিলা করার জন্য বিদিশার আগ্রহ এরশাদ যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সেখান থেকেই তিনি প্রার্থী হতে পারেন। বিদিশা বর্তমানে ভারতের দাজিলিংয়ে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে ফিরেই নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।