নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮
দুপুরে বিএনপি কার্যালয়ে সংঘর্ষ এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন পেছানোর দাবি একই সূত্রে গাঁথা বলে মনে করছেন অনেকে। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচন পেছাতে তারেক জিয়া লাশ চেয়েছিলেন। গতকাল বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে তারেক জিয়া কথা বলেছেন। এদের একজন নেতাই আজ পুলিশের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। সূত্র বলছে, তারেক বিএনপি নেতাদের বলেছেন নির্বাচন কমিশনে ধরনা দিয়ে লাভ নেই। ‘পরিস্থিতি’ সৃষ্টি না হলে নির্বাচন পেছাবে না। এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে যেন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পেছাতে বাধ্য হয়। বিএনপির একজন নেতা দুপুরের সহিংসতার পর বলেছেন, এটা তো কেবল শুরু, সামনে আরও ঘটনা ঘটবে। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে স্পষ্ট আভাস পাওয়া গেছে, নির্বাচন পিছিয়ে তারা একটা বিপজ্জনক সময় সীমায় নিয়ে যেতে চায়, যেখান থেকে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। একটা ‘সাংবিধানিক শূন্যতা’ সৃষ্টি হলেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে মনে করছেন অনেক ঐক্যফ্রন্ট নেতা।
বিএনপির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘বিএনপির খুব কম নেতারাই নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান ছিল। কিন্তু কৌশলগত কারণে আমাদের নির্বাচনে যাবার ঘোষণা দিতে হয়েছে।’ ঐ নেতা বলেন, বিদেশি কূটনীতিকরা বিএনপিকে রীতিমতো নির্বাচনে যাওয়ার চাপ সৃষ্টি করেছিল। তাই নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আমরা নির্বাচন পেছানোর দাবি চাইছি। নির্বাচন পেছানোর জন্য সরকারকে দু’ভাবে চাপে ফেলতে চায় বিএনপি। প্রথমত: নির্বাচন কমিশনে দেন দরবার করার মাধ্যমে। দ্বিতীয়ত, একটা কিছু ঘটিয়ে। একটা কিছু ঘটানোর রিহার্সেল হলো আজ। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শেষ পর্যন্ত যদি নির্বাচন কমিশন নির্বাচন না পেছায় তাহলে নির্বাচনের আগে অনেক ‘ঘটনা’ ঘটবে। আর এই ঘটনাগুলোতে নেতৃত্ব দেবে তারেক জিয়া।
সূত্রমতে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে থেকে বাংলাদেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিএনপি মুখে নির্বাচনের কথা বললেও ভেতরে জামাতের সঙ্গে মিলে নাশকতার পরিকল্পনা করে রেখেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একমাত্র মনোনয়ন ফরম বিক্রি ছাড়া নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কোনো প্রস্তুতিই নেই। বিএনপির অনেক নেতাই ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় এখনো নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের কথা বলছেন। বিএনপি ২০১৪’র নির্বাচনও বানচালের চেষ্টা করেছিল কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী আন্দোলনের কারণে শেষ পর্যন্ত সেই উদ্যোগ সফল হয়নি। এবার বিএনপি এবং জামাত স্বল্পমেয়াদে ঝড়ো তাণ্ডব করতে চায়। যাতে করে নির্বাচন করা সম্ভব না হয়। ড. কামাল হোসেন বিএনপি নেতাদের বলেছেন, আপনারা শুধু নির্বাচন জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নিয়ে যান, তারপর যা করা দরকার তা আমি করবো। নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট কি তাহলে নির্বাচন বানচালের কৌশল নিয়েছে?
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।