নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৫ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, সেজন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের পরিকল্পনায় একটি নাগরিক পর্যবেক্ষণ প্ল্যাটফর্ম গঠিত হচ্ছে। এই নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক হচ্ছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জানা গেছে, ড. কামাল হোসেনই ইউনূসকে এই বিষয়ে রাজি করিয়েছেন।
ড. কামালের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, এই প্ল্যাটফর্মে সদস্য থাকতে পারে ১০০ থেকে ১৫০ জন। নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণ বিধি থেকে শুরু করে সর্বশেষ ভোটের ফলাফল পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করবে নাগরিক কমিটি।
ইউনূস ছাড়াও কয়েকজন আইনজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দরাও এই প্ল্যাটফর্মে থাকছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, সিপিবি’র ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অধ্যাপক রেহমান সোবহান, ব্যারিস্টার শাহদীন মালিক, হোসেন জিল্লুর রহমানসহ সমাজের বিভিন্ন পরিচিত মুখ।
জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যখন নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন থেকেই ড. কামাল হোসেন বিভিন্নভাবে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নির্বাচনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা নিচ্ছিলেন। এছাড়াও নির্বাচনে মনোনয়নের ব্যাপারে সুশীল সমাজের অন্তত ১০ জন প্রতিনিধিদের সুপারিশ করেছিলেন তিনি।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রধান ৫টি বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে নাগরিক কমিটি। সেগুলো হলো:
১. তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কতোটা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে, সেটি পর্যবেক্ষণ করবে তারা।
২. মনোনয়ন দাখিলের পর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ঠিকমতো কার্যকর হচ্ছে কিনা সেটিও দেখবে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।
৩. নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা হয়রানি করা হলে, তাঁর আইনগত প্রতিকার এই প্ল্যাটফর্ম থেকে দেওয়া হবে।
৪. নির্বাচনে সরকার ও প্রশাসন কতটুকু নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে, কোনো পক্ষপাত হচ্ছে কিনা সেটি পর্যবেক্ষণ করবে এই নাগরিক কমিটি।
৫. ভোটের আগে ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন, ভোটারদের ভোটদানে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে কিনা সেটিও দেখবে নাগরিক কমিটি।
এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আচরণ বিধির ওপর কতোটুকু শ্রদ্ধাশীল, তারা ঠিকমতো আচরণ মানছেন কিনা সে বিষয়গুলো নাগরিক কমিটি পর্যবেক্ষণ করবে। ভোটের ফলাফল সঠিকভাবে ঘোষণা করা হচ্ছে না সেটিও পর্যবেক্ষণ করবে নাগরিক কমিটি। এছাড়া সাধারণ ভোটারদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে উদ্বুদ্ধ করার বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে নাগরিক কমিটি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।