ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনে জিতবে আ. লীগ, যদি…

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৫ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ শীর্ষস্থানীয় সব নেতাই বলছেন, এবারের নির্বাচন দলটির জন্য অত্যন্ত কঠিন হবে। গতকাল বুধবার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত কঠিন নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে জয়ী হতে গেলে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং কঠিন সংগ্রাম করতে হবে।

আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘যারা মনে করছে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। বিএনপি নির্বাচন করবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলেই আমার ধারণা।’

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি. এম. কাদের বলেছেন, এবারের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। ভোটের আগে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না কারা এই নির্বাচনে জয়ী হবে।

১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেননও বলেছেন, এবারের নির্বাচন হবে আনপ্রেডিক্টেবল। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জিততে গেলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনের উত্তাপ বেড়ে গেছে। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিছু আগেও আওয়ামী লীগ নির্বাচনে হট ফেভারিট ছিল। আর এখন তাদের হাড্ডা-হাড্ডি লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তারপরও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগ পাঁচটি শর্ত পূরণ করলে তারা এই নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে। এই পাঁচটি শর্ত হলো:

১. আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে হলে দলটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতে হবে। বিশেষ করে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় দলটির সদস্যদের মধ্যে যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও গ্রুপিং আছে সেগুলো তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে মীমাংসা করতে হবে। এটা করতে পারলে দলটি নির্বাচনে সুবিধাজনক অবস্থানে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

২. আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। দেশি বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার জরিপে দেখা গেছে যে তিনি এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। নির্বাচনের প্রচারণায় তাঁকে কীভাবে উপস্থাপন করা হবে এর ওপরে আওয়ামী লীগের জয় অনেকটাই নির্ভর করছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগ যদি সঠিকভাবে তার ইমেজকে ব্যবহার করতে পারে তবে নির্বাচনে দলটির জয়ের ভালো সম্ভাবনা তৈরি হবে। 

৩. প্রতিটি নির্বাচনেই দেখা গেছে যে, আওয়ামী লীগ তার শরিক দলগুলোকে অনেকগুলো আসন ছেড়ে দেয়। কিন্তু সেই ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ শরিক দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে না। যার ফলে শরিক দলগুলোকে দেওয়া অর্ধেকেরও বেশি আসনে তারা জয়ী হতে পারে না। এবারের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। একই সঙ্গে একে অনিশ্চয়তার নির্বাচনও বলা হচ্ছে। এ কারণে এবারের নির্বাচনে শরিক দলের প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা কর্মীদের একাট্টা হয়ে কাজ করতে হবে। একাজটি অনেক কঠিন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে এই কঠিন কাজটি করতে পারলে আওয়ামী লীগের ভালো ফল করার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

৪. প্রতিবার নির্বাচনে দেখা যায় যে, ভোট হয় মূলত দুইভাবে। একটা হলো, আওয়ামী ভোট অন্যটি আওয়ামী বিরোধী ভোট। ১৯৯১ সাল থেকে নির্বাচনগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে যখনই আওয়ামী বিরোধী ভোট বিভক্ত হয়েছে তখনই আওয়ামী লীগের জন্য ইতিবাচক ফলাফল এসেছে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামাত আলাদাভাবে নির্বাচন করেছিল। ফলে আওয়ামী বিরোধী ভোট বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ জয়ী হয়েছিল। একইভাবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও কর্নেল অব. অলি আহমেদ বিএনপি থেকে পৃথক হয়ে নির্বাচন করেছিলেন। ফলে আওয়ামী বিরোধী ভোট বিএনপি’র একার পক্ষে না গিয়ে বিভক্ত হয়ে গেছে। এতে করে ইতিবাচক ফল পেয়েছে আওয়ামী লীগ। 

বাংলাদেশে ভোটের হিসেবে দেখা যায় যে, আওয়ামী লীগের ভোট আছে ৩৮ থেকে ৪০ ভাগ। অন্যদিকে আওয়ামী বিরোধী ভোট আছে ৩০ থেকে ৩২ ভাগ। এই ৩২ ভাগ ভোট বিভক্ত হলেই আওয়ামী লীগের জয়ের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়।

একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, খালেদা জিয়া গ্রেপ্তারের পর যেমনটি মনে করা হচ্ছিলো যে বিএনপি বিভক্ত হয়ে পড়বে এবং নির্বাচন প্রশ্নে দলটির মধ্যে দু’টি ভাগ হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে আওয়ামী লীগের জন্য একটি ইতিবাচক বিষয় হলো, বিকল্প ধারা ও যুক্তফ্রন্টের মতো দলগুলো আলাদা অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু তারা যদি মহাজোটে আসে তবে তারা আর আওয়ামী বিরোধী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত থাকবে না। অন্যদিকে জামাতের সঙ্গে বিএনপি’র একটি মনোমালিন্য দৃশ্যমান হচ্ছে। জামাত আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছে যে, তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবে এবং ৬২টি আসনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২০ দলের অন্যতম শরিক জামাতের এই আবদার বিএনপি কোনভাবেই মানবে না। সেক্ষেত্রে জামাত যদি আলাদাভাবে অবস্থান গ্রহণ করে সেটা আওয়ামী লীগের জন্য ইতিবাচক হবে। পাশাপাশি ইসলামী দলগুলো যদি বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কোনো দলের সঙ্গে না গিয়ে আলাদাভাবে নির্বাচন করে সেটাও আওয়ামী লীগের জন্যও ইতিবাচক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

৫. আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচারণায় তাদের এক দশকের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে প্রাধান্য দিচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, শুধুমাত্র উন্নয়নের স্লোগান দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে না। সেজন্য আওয়ামী লীগ একটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। সেটা হলো, তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করা। এবারের নির্বাচনে ৩ কোটি ২০ লক্ষ তরুণ ভোটার রয়েছে। তাঁরাই এবারের নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে। এই তরুণ ভোটাররা উন্নয়ন কিংবা রাজনৈতিক দল দেখে নয়, বরং তাদের জন্য কি করা হয়েছে সেটা দেখে তারা ভোটকেন্দ্রে যাবে। দেখা যায় যে, তরুণ ভোটারদের সংখ্যা বেশি হলেও তারা ভোটদানে বিমুখ হয়ে যায়। তাদেরকে যদি আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট দিতে উৎসাহী করা যায় তবে তা ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। এজন্য তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি দাওয়া আছে, যেমন: চাকরির বয়সসীমা ৩২ বছর থেকে ৩৫ বছরে উন্নীত করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, কোটা সংস্কার ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো তরুণদের কাছে তুলে ধরা যায় তবে তরুণরা আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে উৎসাহী হবে।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ভোটে অংশ নেওয়ায় বিএনপির দুই নেতাকে শোকজ

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে।

বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।

গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।

দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।

তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও রিসিভ হয়নি।


উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে গণ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ১০:৩০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। 

অবশ্য এসব প্রার্থীর অনেকে এটি ‘দলীয় নির্বাচন নয়’ বলে দাবি করছেন, আবার কেউ কেউ ‘জনগণ তাদের চাচ্ছে’– এমন অজুহাত দেখাচ্ছেন। এমনকি দল থেকে বহিষ্কার হতে পারেন– সেই ভয় উপেক্ষা করেই নিজেদের এ অবস্থান জানান দিচ্ছেন তারা। আবার অনেকের দলে কোনো পদপদবিও নেই। অনেকে বহিষ্কৃত। এর পরও যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি হাইকমান্ড। শিগগির এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানা গেছে।

বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো দলের এমন সিদ্ধান্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও বাস্তবায়ন করছে দলটি। এ জন্য দফায় দফায় তৃণমূল নেতাকর্মী ছাড়াও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গেও দফায় দফায় বৈঠক করেন নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নেতারা এই নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত তুলে ধরেন। সেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ইচ্ছুকদের প্রথমে কাউন্সেলিং, নির্বাচনে না যাওয়ার আহ্বানের পাশাপাশি দলের কঠোর অবস্থানের বিষয়টি তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন নেতারা। এর পরও যারা সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন, তাদের বিষয়ে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি আগেই উচ্চারণ করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। 

এদিকে গত সোমবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের বহিষ্কারের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নেতারা বলছেন, স্থানীয় জনগণের চাপে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য হয়েছেন। তাছাড়া যেহেতু এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না তাই তারা স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করছেন। আর তাই বহিষ্কারের বিষয়টি তারা আমলে নিচ্ছে না। তবে দল তাদের ব্যাপারে নমনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন এমনটাও প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দিনাজপুর জেলার একটি উপজেলার বিএনপির প্রার্থী বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল করার পরে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে নির্বাচনে না যাওয়ার। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন করব, দল যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নেবে।

বিএনপি   গণ বহিষ্কার   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় থানায় জিডি

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ওরফে খোকন এ জিডি করেন।

জিডিতে বলা হয়েছে, গত ২০ এপ্রিল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এই সংবাদ সম্মেলনে সাংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ২০ বছর যাবৎ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই।’ 

একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই। সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।’

জিডিতে শ্রমিক লীগের ওই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে মন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। এখন সরকারের ক্ষমতা থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে? মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। এই মিথ্যাচারের বক্তব্যগুলো দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। তাই বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য জিডি করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।’

ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘আপনি কখনোই কোনো কথা শোনেন না, এটা ঠিক না’

প্রকাশ: ০৭:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের। 

গতকাল সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করতে তার কক্ষে যান শাজাহান খান। এ সময় তার উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনি তো কথা শুনলেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তও মানলেন না।’

এ সময় সেখানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা তিরস্কার করেন শাজাহান খানকে।

জানা গেছে, শাজাহান খান এক পর্যায়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে বলেন, রাজনীতির ধারাবাহিকতায় ছেলে আসিবুর রাজনীতিতে এসেছে। এ জন্যই সে প্রার্থী হয়েছে। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপির স্বজনের নির্বাচন না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রতিউত্তরে শাজাহান খান বলেন, অনেকেরই নিকটাত্মীয় রাজনীতিতে আছেন।

ওবায়দুল কাদের এ সময় শাজাহান খানকে বলেন, ‘আপনি কখনোই কোনো কথা শোনেন না। এটা ঠিক না।’ এর জবাবে শাজাহান খান বলেন, ‘আপনার সিদ্ধান্ত দেরিতে জানিয়েছেন। আগে জানালে ভালো হতো।’ তখন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি আমার নয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কোন সিদ্ধান্ত কখন দেবেন, সেটা কি আমাদের জিজ্ঞাসা করে দেবেন?’

শাজাহান খানের উচ্চস্বরে কথা বলা নিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ নিয়ে বিরক্ত হন ওবায়দুল কাদেরও। তিনি শাজাহান খানের উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে দলের অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন। এর পরও আপনি সবার সামনে এসব অপ্রিয় কথা কেন বলছেন?

এ সময় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুই সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কার্যনির্বাহী সংসদের দুই সদস্য আনিসুর রহমান ও সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মশিউর রহমান হুমায়ুন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী লোটন, বলরাম পোদ্দার এবং শাহজাদা মহিউদ্দিন।

ওবায়দুল কাদের   শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভিডিও ভাইরাল হওয়া সেই চামেলীকে অব্যাহতি

প্রকাশ: ০৭:৩১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের স্বাক্ষর করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
 
এর আগে ওই নারী কাউন্সিলরের একটি নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কয়েকদিন ধরে নগর আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ঘুরপাক খায়। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

আওয়ামী লীগ   ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন