নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩২ এএম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জয়ী হয়, তাহলে যে সংসদ হবে। সেই সংসদটাকে ঐক্যফ্রন্ট শাসনতন্ত্রের সংবিধান হিসেবে পরিগনিত করতে চায়।
গতকাল রাতে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের বৈঠক হয়। যে বৈঠকে ড. কামাল এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমরা প্রথমেই দেশ পরিচালনা করতে চাই না। প্রথমে একটা জাতীয় ঐক্যমত তৈরী করতে চাই। বর্তমানে শাসনতন্ত্রকে প্রত্যেকে নিজেদের ইচ্ছেমতো সংশোধন করেছেন। সংশোধনের প্রেক্ষিতে এই শাসনতন্ত্রে জনগনের যে মূল উপজীব্য, জনগনের সার্বভৌমত্ব। সেই সার্বভৌমত্ব বিষয়টিই এর মধ্যে নেই। এখানে প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির হাতে কোন ক্ষমতা নেই। তাছাড়া এই সংবিধানের মধ্যে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সুশাসনের পরিপন্থী।
এজন্য ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবাইকে বলেছেন, এবার নির্বাচন হবে সংবিধান পরিবর্তনের নির্বাচন। এই সংবিধান বাদ দিয়ে একটি নতুন সংবিধানই হবে নির্বাচিত সংসদের প্রথম কাজ। তিনি এটাও ইঙ্গিত করেছেন যে, মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে যে আদলে গণপরিষদ গঠন করা হয়েছিল। সেই গণপরিষদের মাধ্যমে একটি সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল। সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে ১৯৭৩ সালে যে নির্বাচন করা হয়েছিল। ঠিক একই আদলে এবারের নির্বাচনের পর যারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, যদি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। তাহলে তাদের প্রথম কাজ হবে নতুন সংবিধান প্রণয়ন। এই সংবিধান প্রনয়নের পরেই যে সংসদ নির্বাচন হবে। তা বিলোপ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।