নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩০ পিএম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৪৫ দিন। নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলগুলো বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের যাচাই বাছাই করছে। তবে বেশ কয়েকটি আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী নিশ্চিত বলে ধরা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ওই আসনগুলোতে দেশের বড় দুটি দলের হেভিওয়েট প্রার্থীদের জমজমাট লড়াই দেখার প্রত্যাশাও করছেন দেশবাসী। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এমনই একটি আসন দিনাজপুর- ২ আসন। জাতীয় সংসদের ৭ নং এই আসনটিতে মুখোমুখি হবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান।
বোচাগঞ্জ উপজেলা ও বিরল উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর- ২ আসনটির সাংসদ নির্বাচিত করেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৫৬২ জন ভোটার। স্বাধীনতার পর থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি ছিল। ১৯৭৩ সালে এ আসনে জয়লাভ করেন স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠকারী আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী। পরে ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের সতীশ চন্দ্র রায়। কিন্তু ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সতীশ চন্দ্র রায়কে হারিয়ে বিজয়ী হন বিএনপির প্রার্থী লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান। তবে ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মাহবুবুর রহমানকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের হারানো দূর্গ পুনরুদ্ধার করেন এই আসনের বর্তমান এমপি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সে হিসেবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী। দলীয় কোন্দলের অভিযোগ থাকলেও এই আসনে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দলের একক প্রার্থী। এছাড়া বিগত সাড়ে আট বছরে এলাকার উন্নয়নে বেশ কিছু কাজ করেছেন তিনি। এসব বিষয়কে খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর জন্য ইতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে। আর বিএনপির প্রার্থী লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান স্বচ্ছ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তাই তাঁরও পুনরায় এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে আশায় বুক বেঁধেছেন বিএনপির সমর্থকরা।
দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর উপস্থিতির কারণে যেসব আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তার মধ্যে দিনাজপুর- ২ আসনটিও অন্তর্ভূক্ত থাকবে বলে ভবিষ্যৎ বাণী করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।