ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক কারণেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে দল সরকার গঠন করবে সে দলের নেতৃত্বেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন হবে। একই সঙ্গে ওই দলের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের বিজয়ের রজত জয়ন্তীও পালন করা হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সব বক্তব্যেই এই বিষয়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন।

আমরা সবাই জানি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন একে অপরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত, একে অপরের পরিপূরক। জাতির পিতা ছাড়া যেমন স্বাধীনতা অসম্পূর্ণ, তেমনি স্বাধীনতা মানেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই বিবেচনায় এবারের নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের ভূমিকা কি হবে সেটা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম জল্পনা কল্পনা চলছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা। তিনিই এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। তাঁর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা এবং ইমেজই এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান ভরসা। নির্বাচনে তিনি তিনটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন বলে জানা গেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য সদস্যরা এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন ও বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাকে নির্বাচন করার জন্য গোপালগঞ্জের জনসাধারণ বারবার দাবি তুলছে যে। কিন্তু তিনি নির্বাচন করবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি নির্বাচন না করলেও নির্বাচনের প্রচারনা এবং নীতি নির্ধারনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে। তিনি ইতিমধ্যেই দেশে ফিরে এসেছেন। অতীতে বিভিন্ন সময় সংকটে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতিকে যেভাবে পরামর্শ ও সাহস জুগিয়েছেন এবারের নির্বাচনেও তিনি একই কাজ করবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।

এবারের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার আরেকটি কারণ হলো এটিই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেষ নির্বাচন। তিনি সত্তর পেরিয়েছেন এবং নিজেই বলছেন, এবারের পর তিনি আর নির্বাচন করতে চান না। এরপর অবসর জীবন যাপন করতে চান তিনি। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য উত্তরাধিকার মনোনয়ন এবারের নির্বাচনের একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

আমরা যা-ই বলি না কেন, শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু পরিবারই আওয়ামী লীগকে অটুট ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখতে পারে। তাই এই নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার উত্তরাধিকার কে হবেন তা নির্ধারন করা অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই চট জলদি করে কোনো উত্তরাধিকারের নাম বলতে রাজি নন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই সন্তান। দুজনেই বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এবং সৃষ্টিশীল বিনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে পুরোধা পুরুষের ভূমিকা পালন করেছেন। একইভাবে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিশেষ করে অটিজম ইস্যুতে শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। এই দুজন সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না হলেও নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিশেষ করে সজীব ওয়াজেদ জয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারনা কৌশল প্রনয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একই সাথে তিনি বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ গ্রহণ করবেন। তরুনদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ২০০৮ এর নির্বাচনেও প্রচারনায় অংশ নিয়েছিলেন। সেবারের নির্বাচনে তিনি জনগণের মধ্যে বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছিলেন।

এবারের নির্বাচনের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দিকের মধ্যে একটি হলো, তারুণ্যের প্রভাব। এবারে নির্বাচনে প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ তরুণ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তাঁরাই ভোটের নির্ধারক হিসেবে কাজ করবে। তরুনদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় সজীব ওয়াজেদ জয়। এবারের নির্বাচনে মূল ধারার গণমাধ্যমের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই বেশি ভূমিকা রাখবে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে সরাসরি না দাড়ালেও সজীব ওয়াজেদ জয় নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের একজন মূল সৈনিক হিসেবে কাজ করবেন তা নিয়ে কারোরই কোনো সন্দেহ নেই। তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রংপুরের পীরগঞ্জ এলাকাবাসীর চাপ রয়েছে। কিন্তু সজীব ওয়াজেদ জয় এখনই নির্বাচন করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। 

বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরেকজন সদস্য এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সিআরআই (সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশন) পরিচালিত হচ্ছে। নির্বাচনের আগে সিআরআই ‘হাসিনা, অ্যা ডটার’স টেল’ নামের একটি প্রামান্য চলচ্চিত্র নির্মান করেছে। এই প্রামান্য চলচ্চিত্রটি নির্বাচনে ভূমিকা রাখবে বলে সিআরআই মনে করছে। পাশাপাশি তরুনদেরকে উদ্দীপ্ত করা এবং সারা বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিস্থিতি, আওয়ামী লীগের অবস্থান ইত্যাদি নিয়ে জরিপ করার কাজে সিআরআই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, তিনি যতটা না বাইরের বক্তা এবং মাঠে কাজ করেন তাঁর চেয়ে বেশি তিনি গবেষনা বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আওয়ামী লীগের যে গবেষণা কার্যক্রম তাঁর নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনিই। আওয়ামী লীগ প্রথমবারের মতো এবারের নির্বাচনে একটি সুনির্দিষ্ট জরিপ ও গবেষণার ভিত্তিতে নির্বাচনি কৌশল প্রনয়ন করেছে। এই গবেষণার পুরোটাই রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নেতৃত্বে করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু পরিবার কখনোই ক্ষমতার মোহে নয় বরং জনগণের কল্যাণ এবং জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবেই কাজ করেন। এই নির্বাচনে যেন জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয় এবং জনগণের যে অগ্রগতি এবং উন্নয়নের ধারার সূচনা হয়েছে সেই ধারা অব্যাহত থাকে সেটার জন্যই বঙ্গবন্ধু পরিবার এবার নির্বাচনে কাজ করবে। শেখ রেহানার অন্য দুই সন্তান টিউলিপ সিদ্দিকি এবং রূপন্তী সিদ্দিকি। টিউলিপ সিদ্দিকি ব্রিটেনের সংসদ সদস্য। এজন্য তিনি এবারের নির্বাচনের প্রচারে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবেন না। অন্যদিকে অক্সফোর্ড থেকে সদ্য পাশ করেছেন রুপন্তী। তিনিও নির্বাচনে ভূমিকা পালন করবেন বলে মনে হচ্ছে না।

এবারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারজন সহযোদ্ধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এই চারজনই হলেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য। তারা হলেন, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। প্রতিবারই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু পরিবার একটা না একটা চমক সৃষ্টি করে। এবার তারা কি চমক সৃষ্টি করবে সেটা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেই বোঝা যাবে।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের আগাম কাউন্সিলের গুঞ্জন

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, একাধিক কারণে আওয়ামী লীগ এখন নতুন করে কাউন্সিলের বিষয়টি ভাবছে। চলতি বছরের শেষ দিকে অথবা আগামী বছরের শুরুতে কাউন্সিল করা যায় কিনা এ বিষয়টি নিয়ে দলের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে বলেই একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে। 

আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ২২ তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর। সেই কাউন্সিলটি ছিল একটি রুটিন কাউন্সিল। এই কাউন্সিলে দু-একজনকে পদোন্নতি দেওয়া এবং দু-একজনের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দেওয়া ছাড়া তেমন কোন পরিবর্তনই হয়নি। সবকিছু আগের মতোই রেখে দেওয়া হয়েছিল। 

অনেকে মনে করেন যে, এটি ছিল নির্বাচনের আগে কমিটিকে নতুন জীবন দেওয়ার একটি সিদ্ধান্ত। আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সাধারণত তিন বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। ২১ তম কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০ থেকে ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ সালে। তার আগে ২০ তম কাউন্সিলের অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ২৩ এবং ২৩ অক্টোবর। কিন্তু নানা বাস্তবতার বিবেচনায় এবার আওয়ামী লীগ কাউন্সিল এগিয়ে আনতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। 

কাউন্সিল এগিয়ে আনার পিছনে যে যুক্তিগুলো রয়েছে, তার মধ্যে প্রথমত, অবশ্যই দলের কোন্দল নিরসন এবং দলকে আবার নতুন করে ঢেলে সাজানো এবং দলকে শৃঙ্খলার মধ্যে ফিরিয়ে আনা। 

দ্বিতীয়ত, এবার নির্বাচনের মাধ্যমে অনেক কেন্দ্রীয় নেতা আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। যার ফলে কেন্দ্রীয় নেতাদের এখন সাংগঠনিক তৎপরতা অনেক কমে গেছে। ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দল এবং সরকারকে আলাদা করে নীতি নিয়ে এগোচ্ছেন। সেই নীতির অংশ হিসেবেই তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে যারা থাকেন, তাদেরকে মন্ত্রিসভার অন্তর্ভুক্ত করেন না। কিন্তু এবার অনেক কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এমনকি নারী সংসদ সদস্যদের মধ্যেও অনেক কেন্দ্রীয় নেতা আছেন যারা মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অন্যদিকে দলের জন্য কাজ করা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতা মন্ত্রিসভাতেও নেই, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও নেই। এই সমস্ত নেতৃত্বরা সব কিছু থেকে দূরে যেয়ে হতাশাগ্রস্ত হচ্ছেন। এই কারণে দলের ভিতর নেতৃত্বে পরিবর্তন দরকার বলে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন।

তাছাড়া সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একটি গতি আনা দরকার এবং নতুন রক্ত প্রবাহ সঞ্চালন করা দরকার। যেটির কথা আওয়ামী লীগ সভাপতি বারবার বলছেন। এ সমস্ত কারণে আওয়ামী লীগ একটি নতুন কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের ভিতর আবার গতি আনতে চায়, বিভক্তি দূর করতে চায় এবং দলে যারা সংগঠনের জন্য মনোযোগী, সংগঠনের কাজে যাদের আগ্রহ রয়েছে তাদেরকে সামনে আনতে চায়।

উল্লেখ্য, সামনে উপজেলা নির্বাচন এবং এর পর শোকের মাস। সব কিছু মিলিয়ে চলতি বছরের শেষ দিকে একটি কাউন্সিল করার ভাবনা আওয়ামী লীগের মধ্যে আছে। আর সেটি যদি সম্ভব না হয় তাহলে আগামী বছরের শুরুতে আওয়ামী লীগ কাউন্সিল করতে পারে বলে একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ   আগাম কাউন্সিল   দলীয় কোন্দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যে কারণে খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকরা আপাতত খাবার নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করছেন। তবে জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়া নিয়ে নাবিকেরা কিছুটা দুশ্চিন্তায় আছেন। 

জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের বরাতে জাহাজটির মালিকপক্ষ ও নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।

জানা গেছে, খাবার নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা নেই। কারণ, জলদস্যুরা জাহাজে দুম্বা ও ছাগল আনছে। তবে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। কারণ, জলদস্যুরা জাহাজে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে জাহাজে যা বিশুদ্ধ পানি আছে, তা রেশনিং করে চলতে হচ্ছে। সংকটের কারণে এখন সপ্তাহে দুই দিন এক ঘণ্টা করে জাহাজের বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন নাবিকেরা। অর্থাৎ সপ্তাহে মাত্র দুই ঘণ্টা বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন তারা।

এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি ছিল। এই পানি দিয়ে এক মাস পর্যন্ত চালানো যাবে বলে তখন নাবিকেরা জানিয়েছিলেন। 

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে।

এর আগে প্রায় ১৩ বছর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এমভি জাহান মণি নামের একই গ্রুপের মালিকানাধীন একটি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি ১০০ দিন পর সব নাবিকসহ উদ্ধার করা হয়েছিল। জিম্মি অবস্থায় জাহাজটির খাবার ফুরিয়ে গেলে জলদস্যুরা সপ্তাহে দুটি দুম্বা নিয়ে আসত।


এমভি আবদুল্লাহ   কবির গ্রুপ   সোমালিয়া উপকূল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এখনই ভারত বিরোধী কর্মসূচিতে যাবে না বিএনপি

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জন বা প্রকাশ্য ভারত বিরোধী কর্মসূচিতে এখনই যাবে না। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চূড়ান্তভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। গতকাল লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া স্থায়ী কমিটির সদস্যদের এই বার্তা দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, এখনই ভারত বিরোধী কর্মসূচি প্রয়োজন নেই। তবে বিভিন্ন স্থানে যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভারতের বিরোধিতা করবে ভারতীয় পণ্য বর্জন করবে, তাদের ব্যাপারে বিএনপি নির্লিপ্ত থাকবে। এমনকি ভারতের যে সমস্ত আগ্রাসন বা পক্ষপাতমূলক আচরণ সে ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান সুস্পষ্ট থাকবে। বিএনপি বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য যে কোন দেশের সমালোচনা করবে। তবে কোন দেশের পণ্য বর্জনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মসূচি নেবে না বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপির মধ্যে একধরনের ভারত বিরোধিতার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। বিএনপির অনেক নেতাই প্রকাশ্যে বলেন যে, আওয়ামী লীগকে ভারত ক্ষমতায় রেখেছে এবং ভারত একটি অগণতান্ত্রিক সরকারকে বাংলাদেশে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। এ নিয়ে বিএনপির বেশ কিছু নেতা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছিলেন। তবে গত ২০ মার্চ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রকাশ্যে ভারতীয় পণ্য পুড়িয়ে ফেলে আলোচনায় আসেন। 

এর আগে বিদেশে পলাতক সাইবার সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত পিনাকী ভট্টাচার্য তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার এই পণ্য বর্জনের ডাকে তেমন কোন সাড়া না পড়লেও পিনাকীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবং পিনাকীর নেতৃত্ব মেনে রুহুল কবির রিজভীর এই ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। বিএনপির মধ্যে এই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতাদের অনেকেই বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন। যেদিন রিজভী ভারতীয় পণ্য পুড়ানোর নাটক করেন তার ঠিক চারদিন পর ২৪ মার্চ বিএনপি ওয়েস্টিন হোটেলে বিদেশি কূটনৈতিকদের সম্মানে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। সেই ইফতার অনুষ্ঠানে ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন এবং এটি বিএনপির অনেক জন্য একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি বলেই উল্লেখ করা হয়।

বিষয়টি দলের স্থায়ী কমিটির সভা পর্যন্ত গড়ায় এবং এখানে অনেকেই এই সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছে কি না সেই প্রশ্ন উত্থাপন করেন। অবশ্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তখন রিজভীর পক্ষেই অবস্থান নেন। তিনি জানান, যে রিজভী যেটা করেছেন সেটি তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে এটি করেছে। এটি দলীয় অবস্থান নয়।

তবে এরপরে বিএনপির মধ্যে অনেক সিনিয়র নেতা প্রশ্ন করেন যে, একজন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তি দলীয় অবস্থানের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত অবস্থান নিতে পারেন কি না? এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ওই স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে গতকাল রাতে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানিয়ে দেন যে, তারা আপাতত কোন প্রকাশ্য কর্মসূচিতে যাবে না। তবে ব্যক্তিগতভাবে যদি কেউ ভারত বিরোধিতা করে বা ভারতের অবস্থানের সমালোচনা করে সেগুলো নিয়ে বিএনপি নীরব থাকবে। দলগতভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের কোনো ডাক বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া হবে না বলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে- সীমান্ত হত্যা, ভারতের ভুল নীতি বা বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের আগ্রাসন ইত্যাদি ব্যাপারে বিএনপির অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিএনপি এই সমস্ত বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী, সার্বভৌমত্ব বিরোধী প্রতিটি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান অতীতে নিয়েছে, ভবিষ্যতেও নেবে। তবে ভারতের পণ্য বর্জন বা ইন্ডিয়া আউটের মতো কোনও কর্মসূচিতে বিএনপি আপাতত যাবে না।

তাহলে বিএনপি নেতারা কী ভারতীয় পণ্য পুড়িয়ে ফেলবে এমন প্রশ্নের উত্তরে স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য বলেন, আমরা কোন দেশের পণ্য পুড়ানো বা কোন দেশের পণ্য বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করিনি। এ ধরনের কর্মসূচিতে বিএনপি যাচ্ছে না।

ভারত বিরোধী   বিএনপি   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে জিয়াউর রহমানও লজ্জা পেয়ে যেতেন’

প্রকাশ: ০১:৩৯ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।


বিএনপি   ড. হাছান মাহমুদ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি ইফতার পার্টিতেও মিথ্যাচার করছে: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।

তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।

এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন