নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩২ এএম, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেভিওয়েটদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে যে আসনগুলোতে তাঁর একটি হলো নোয়াখালী-৫। এই আসনে বিএনপি’র পক্ষ থেকে প্রার্থিতা করছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। আর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ বিএনপি বাইরে যতই যুদ্ধংদেহী ভাব থাকুক না কেন তারা দুজনেই চাইছেন নোয়াখালী-৫ আসনটিতে একটি আপোষ বা সমঝোতা করতে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, তিনি যেন নোয়াখালী-৫ আসন থেকে সরে ঢাকার কোনো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু এই প্রস্তাবে তিনি রাজি নন বলে জানা গেছে। আবার ওবায়দুল কাদেরও এই আসন ছেড়ে অন্য কোনো আসনে যেতে রাজি নন। এই দুজনের এই দ্বৈরথের জন্য এখন বিকল্প চিন্তা করা হচ্ছে। কারণ দুজনেই তাদের দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওবায়দুল কাদের যেমন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তেমনি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদও বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা। এ কারণে দুজনেই বিকল্প পথ খুঁজছেন। একাধিক আসনে প্রার্থী হতে চাইছেন তারা। নোয়াখালীর ৫ আসন ছাড়া আরও একটি আসন থেকে ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র কেনা হয়েছে। অন্যদিকে খালেদা জিয়া যদি নির্বাচন করতে না পারেন তবে তাঁর একটি আসনে ব্যারিস্টার মওদুদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, এর আগেও ১৯৯১ সালের সালের নির্বাচনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি এরশাদের ছেড়ে দেওয়া রংপুরের একটি আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন