নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮
বিএনপি’র মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হবে আগামীকাল রোববার থেকে। কিন্তু দলটির কারোরই এই মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আস্থা নেই। বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, সব সিদ্ধান্ত নেবেন ভাইয়া (তারেক জিয়া)। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ মনোনয়ন প্রত্যাশী ভাইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ লন্ডনে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এবং মনোনয়নের জন্য উপঢৌকন জমা দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার টেলিফোনে যোগাযোগ করেও মনোনয়ন প্রার্থনা করেছেন।
এ কারণেই, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে যে মনোনয়ন বোর্ড তার ওপর আস্থা নেই অধিকাংশ মনোনয়ন প্রত্যাশীর। তারা বলছেন, এই মনোনয়ন বোর্ড কেবলমাত্র আইওয়াশ। বিএনপি’র একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী বলেন, ‘আমি তিন মাস আগে লন্ডনে গিয়েছিলাম। সেখানে ভাইয়ার সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাকে নির্বাচনের জন্য মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর থেকে এলাকায় কাজ করছি।’ ঠিক এভাবেই বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী সিনিয়র নেতারাও লন্ডনে গিয়ে ভাইয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন।
যুবদলের সাবেক নেতা ও বর্তমানে বিএনপি’র অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী যুবদলের সাবেক সভাপতি বরকত উল্লাহ বুলু গত জুনে লন্ডনে তারেক জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তাকে মনোনয়নের আশ্বাস দেওয়া হয়। বরকত উল্লাহ বুলুর মতো এমন অনেক নেতাই রয়েছেন যারা লন্ডনে গিয়ে তারেক জিয়ার আশ্বাস পেয়েই নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন। এখন মনোনয়ন বোর্ডের যে নাটক হচ্ছে তাতে আগ্রহ নেই তাদের। বরং যারা লন্ডনে যোগাযোগ করতে পারেননি তাঁরাই এতে উৎসাহী। বিএনপি’র একজন নেতা বলেছেন, ‘মনোনয়নের ব্যাপারটি চূড়ান্ত করেছেন ভাইয়া। কাজেই কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা এই বোর্ডের নেই।’
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।