নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপর ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ বেড়েছে। বিশেষ করে কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার পর, ভারতীয় দূতাবাসের নানা কর্মকর্তা ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন বড় প্রশ্ন হলো, ভারত কি ঐক্যফ্রন্টে ঝুঁকেছে?
মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাটের বিদায়ের পর, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর তেমন আগ্রহ নেই। নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এখনো বাংলাদেশে আসেননি। মার্কিন দূতাবাস মনে করছে, সব রাজনৈতিক দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, এটা বড় অর্জন। মার্কিন দূতাবাস মনে করছে, অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনই সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান পূর্বশর্ত।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনায় এখন আর আগ্রহী নয় মার্কিন দূতাবাস। তারা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে কিনা, সে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে চায়। মার্কিন দূতাবাসের মতোই অবস্থান যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের। এই দেশগুলো এখন নীরব পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকলেও, ভারতের সরব তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। গত এক সপ্তাহে ভারতীয় দূতাবাসের একাধিক কর্মকর্তা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্তত পাঁচ নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন বলে নিশ্চিত খবর পাওয়া গেছে। যাদের সঙ্গে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে, তাঁরা হলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ. স. ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এদের অন্তত দুজন নেতা বাংলা ইনসাইডারের কাছে এ ধরনের বৈঠকের কথা স্বীকার করেছেন। এদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, যেহেতু ঐক্যফ্রন্ট সম্পূর্ণ নতুন জোট। আমাদের বিশ্বাস এবং আদর্শের জায়গাগুলো তাঁরা পরিষ্কার হতে চেয়েছে। আমরা আমাদের অবস্থান তাদের করছি।’ জানা গেছে, ক্ষমতায় গেলে ঐক্যফ্রন্ট কী করবে, কীভাবে সাজাবে ক্ষমতার ভারসাম্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ভারতীয় দূতাবাস নানা খুঁটিনাটি প্রশ্ন ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের করছেন। শুধু প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, এটা নয়, ক্ষমতায় গেলে ২০ দলের কি হবে, কীভাবে সরকার চলবে, বেগম জিয়া ও তারেক জিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি হবে-ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তাঁরা মত নিচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের।
প্রশ্ন উঠেছে, ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপারে ভারতের এত আগ্রহ কেন? ভারত কি ঐক্যফ্রন্টের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছে? আওয়ামী লীগ নেতারা অবশ্য তেমনটা মনে করেন না। বরং আওয়ামী লীগ মনে করছে, ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক অন্য যে কোনো সময়ের চেয়েও দৃঢ়। কিন্তু কূটনৈতিক সূত্রের খবর হলো, ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনে আনতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ভারত। ৭ দফার কোনো দফা না মানার পর বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রায় সবাই নির্বাচনের বিপক্ষে ছিলেন। কিন্তু ভারতীয় দূতাবাসের অনুরোধে তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে। ঐক্যফ্রন্টের একজন নেতা বলেছেন, শুধু ভারত নয়, সব বিদেশি রাষ্ট্র এবং বন্ধুরা আমাদের গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।