নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১০ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি। তবে এবারের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিএনপি অনেক নাটক, নানা তালবাহানা এবং অজুহাতের পর অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন দুটি জোট নিয়ে তাঁরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আগামীকাল থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে। তবে বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে বিএনপির কে কোথায় মনোনয়ন পাবেন, তা ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শুধুই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি এবারের নির্বাচনে যে কোনো মূল্যে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে চায়। কারণ বিএনপি এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন দুই জোট মনে করছে , দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারলে, তাহলে তাঁদের পক্ষে সংবিধান সংশোধনসহ আরও অন্যান্য যে কাজগুলো তাঁরা করতে চায়, সে কাজগুলো করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হবে না।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র মনে করছে, এবারের নির্বাচনের কৌশল হিসেবে বিএনপি তাঁর দুই জোটের শরিকদের জন্য ১০০টি আসন ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এরমধ্যে ২০ দলীয় জোটের জন্য বিএনপি ৪০ থেকে ৫০টি আসন এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জন্য ৫০ টি আসন দেওয়া হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে আভাস পাওয়া গেছে। তবে বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য যিনি বিএনপির নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত তিনি বলেছেন, ‘শরিকদের জন্য বিএনপি সর্বোচ্চ ৬০ টি আসন হয়তো ছেড়ে দেওয়া হবে।’ তবে বিএনপির অন্যে একজন নেতা বলেছেন, ‘এবার আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। শরিকদের মধ্যে যে কোনো ধরণের মতবিরোধ না হয় সে জন্য আমরা শরিকদের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন ছেড়ে দিব।’
শরিকদের জন্য বিএনপি বেশি সংখ্যক আসন ছেড়ে দেওয়ার আরও একটি অন্যতম প্রধান কারণ হলো বিএনপির সম্ভাব্য অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। বিএনপির অনেক নেতা এখন কারাগারে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির অনেক নেতা বিভিন্ন মামলায় পলাতক রয়েছেন, অনেক নেতা আবার নানা মামলায় জর্জরিত। এসব কারণে বিএনপির অনেক নেতা অংশগ্রহণের অযোগ্য হয়ে পড়েছেন। তারা নির্বাচনে খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না। এ কারণে বিএনপি চাইছে শরিকদের মধ্যে যারা মামলা ও নির্বাচনের অযোগ্যতা এড়িয়ে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন, তাঁদেরকেই ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাতে। বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘যেহেতু শরিকদের সবাই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন, তাই কে কত আসন পেল, সেটা কোনো বিষয় না। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ধানের শীষ মানেই হলো বিএনপি। যেখানে যাকে বিজয়ী করা যায় সেই অনুযায়ী আমরা ধানের শীষের প্রার্থী চূড়ান্ত করবো।’
বিএনপি তাঁর মনোনয়ন কৌশলে যে আসনগুলো তারা কখনোই পাবে না এমন ৫০ থেকে ৫৫টি আসন চিহ্নিত করেছে। এই আসনগুলো হলো রংপুরের অঞ্চলের ৬ টি আসন, বৃহত্তর রংপুরের ১২ টি আসন তাঁদের পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই বিএনপি বিবেচনা করছে। গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, বাগেরহাট এবং নড়াইল এই অঞ্চলগুলোতে বিএনপি অনেক দুর্বল। এইসব অঞ্চলে বিএনপির জয়ের সম্ভাবনা অনেক কম বলেই বিএনপি মনে করছে। এই ৩০ থেকে ৩২ টি আসন বাদ রেখে বাকি আসনগুলোতে বিএনপি মনযোগী হচ্ছে।
বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, যে আসনগুলো তাঁরা পাবেন না। যেমন গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, বাগেরহাট এবং নড়াইল এই আসনগুলোতে তাঁরা খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন না। এইসব আসনে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁরা খুব বেশি গুরুত্ব প্রদান করবে না। বরং এই অঞ্চলের প্রার্থীদের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হবে, তাঁরা যদি কোনও কিছু করে জয়ী হয়ে আসতে পারে, সেটা তাঁদের বিষয়। বৃহত্তর রংপুরে বিএনপির অবস্থান হলো তৃতীয়। এখানে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। এই আসনগুলোতে বিএনপি তাঁর অন্য শরিকদের মধ্যে বিলি করতে চায়, যেমন জামায়াত বা ঐক্যফ্রন্টের অন্য যারা আছে তাঁদেরকে রংপুরের আসনগুলো দেওয়ার কৌশল গ্রহণ করেছে বিএনপি।
বিএনপির সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে যে, ৩২ টা থেকে ৪০ টা আসনে তাঁদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই আসনগুলো বিএনপি শরিকদের দিয়ে দিতে চায়। যে আসনগুলোতে তাঁদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি আছে যেমন, বগুড়া, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীর আসনগুলো তাঁরা ঐক্যফ্রন্ট বা ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে কমই দিতে চায়।
বিএনপির মনোনয়নের দ্বিতীয় কৌশল হলো, শহরাঞ্চলের আসনগুলোতে বেশি প্রধান দিতে চান তাঁরা। যেমন ঢাকা মহানগরী, চট্টগ্রাম মহানগরী, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এইসব অঞ্চলে তাঁরা নির্বাচনের জোরালো প্রচারণা চালাতে চান। বিএনপির নেতৃত্ববৃন্দ মনে করছেন শহরাঞ্চলে যদি জোয়ার তোলা যায়, তাহলে গ্রামাঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নির্বাচনে ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে বিএনপি এবং তাদের জোটের জন্য। তবে এই নির্বাচনে বিএনপি মনে করছে, তাঁদের জন্য সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, এই নির্বাচনে তারা ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকিসহ ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্যদের অভিন্ন প্রতীক ধানের শীষ দিতে পেরেছে। এবারের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লারও নিবন্ধন নাই নির্বাচন করার। তাই জামাতকেও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। তাই বিএনপি এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন দুই জোট একটি অভিন্ন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। বিএনপি মনে করছে তাঁরা যদি শহরাঞ্চলে ভালো ফলাফল করতে পারে, তাহলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে তারা চমকে দেওয়ার মত অপ্রত্যাশিত ফলাফল করবে।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।