নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮
বিএনপি এখন দুই ঘর করছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর দীর্ঘদিন ২০ দলের খবরই রাখেনি বিএনপি। অবশ্য, চলতি মাসের শুরুতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময়কালে আবার ২০ দলকে ঘন ঘন সময় দেয় বিএনপি। ২০ দলের মন ভাঙাতে কর্নেল অলি আহমেদকে ফিরিয়ে আনা হয়। দলগুলোকে নিয়ে কয়েকটি বৈঠকও হয়। কিন্তু তফসিল পরবর্তী সময়টুকু কাটতে না কাটতেই আবার অবহেলিত, বঞ্চিত ২০ দল। বর্তমান সময়ে ঐক্যফ্রন্ট নিয়েই সব ব্যস্ততা বিএনপির।
অতি সম্প্রতি ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করল বিএনপি। সেখানে ছিলনা ২০ দল। ২০ দলের অন্যতম নেতা কর্নেল অলি আহমেদও বলেছিলেন তারা নির্বাচন কমিশনে যেতে চান, তাদেরও কিছু বিষয় আছে আলোচনার। কিন্তু ২০ দলের নির্বাচন কমিশনে যাওয়া আর হয়নি। কর্নেল অলির একবার মান ভাঙলেও আবার তিনি আগের অবস্থায়ই ফিরে যাচ্ছেন।
২০ দলের অন্যতম শরিক দলহীন মার্কাহীন জামাত। জানা গেছে, এরই মধ্যে ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খানকে তিন দফা চিঠি দিয়েছে জামাত। এসব চিঠির ভাষ্য একটাই আসন্ন নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা চায় তারা। কিন্তু জামাতের আহ্বানে এখন পর্যন্ত সাড়া দেয়নি বিএনপি। জামাতের ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক মনোভাবও দেখাচ্ছে না এখন। জানা গেছে, এরই মধ্যে দেশের ৬২ টি এলাকা থেকে জামাত মনোনয়ন কিনেছে।
জামাত ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, যেসব এলাকায় ঐক্যফ্রন্টে হেভিওয়েট প্রার্থী থাকবে সেখানে জামাতও প্রার্থী দেবে। বগুড়া-২ আসনে ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার নির্বাচন করার কথা। কিন্তু এরই মধ্যে সেখানকার মনোনয়ন কিনেছেন জামাতের প্রার্থী। স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সেখানে জামাতের প্রার্থী বেশ শক্তিশালী অবস্থানেই রয়েছে। একই ভাবে ঢাকার একটি আসনে ড. কামাল হোসেন এবং লক্ষ্মীপুরে আ. স. ম. আবদুর রব নির্বাচন করার কথা। এসব আসনেও জামাত প্রার্থী দিতে পারে বলে জানা গেছে।
জামাতের সঙ্গে বিএনপির মনোমালিন্যের শুরুটা অবশ্য বেশ কিছুদিন আগেই। সর্বশেষ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় প্রার্থী দেওয়া নিয়ে জামাতের সঙ্গে বিএনপির বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে। সর্বশেষ তিন সিটি নির্বাচনে সিলেটে জামাতের প্রার্থীই নির্বাচনে দাঁড়ায়। আর রাজশাহীতে মেয়র প্রার্থী না দিলেও ওয়ার্ড কাউন্সিলর পর্যায়ে জামাতের অনেক প্রার্থী ছিল। রাজশাহীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর প্রচারণায় জামাত কোনো সহায়তাই করেনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০ দল এবং ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বিএনপির বাইরে একমাত্র সংগঠিত রাজনৈতিক দল হলো জামাত। বিএনপি তাদের যতোই আড়াল করতে চাইলে ততই অসন্তুষ্ট হয়ে উঠছে জামাত। আর অসন্তোষ থেকে নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম প্রতিপক্ষ হয়ে দেখা দিতে পারে তারা।
সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, জামাত শুধু একাই নয়, অন্যান্য ইসলামী দলগুলোকেও একত্রিত করে একটি নির্বাচনী প্লাটফর্ম বা জোটেরও চেষ্টা করছে তারা। এবার নির্বাচনে জামাতের সবচেয়ে সুবিধার দিক হলো, তাদের সব প্রার্থীই স্বতন্ত্র ভাবে দাঁড়াতে পারবে। দলীয় শৃঙ্খলা বা দলীয় নির্দেশের কোনো বাধ্যবাধ্যকতা নাই এবার।
জামাতের একাধিক নেতা বলছেন, যেহেতু তাঁরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন, সেজন্য তাঁদের কর্মীদের ধরে রাখাই এবার একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ধানের শীষ প্রতীকের পিছনে ছুটলে তাদের কর্মীরা আগেই সরে যাবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের সময় চরম সংকটে থাকা জামাতের পাশে থাকেনি বিএনপি। এমনকি এ নিয়ে একবারের জন্যও তারা দীর্ঘদিনের শরিকের জন্য প্রকাশ্যে কোনোকিছুই করেনি বিএনপি। তাই এই নির্বাচনে বিএনপির পাশে জামাত থাকবে এমন কোনো বিষয় নেই।
আবার ২০ দলের অন্য দলগুলোর মধ্যে দু-একটি দল বাদে প্রায় সবাই সম্মানজনক আসন প্রত্যাশা করছে জাতীয় নির্বাচনে। এমন আসন প্রাপ্তি না ঘটলে তারা অন্যরকম কিছু ভাবতে পারে বলেই জানাচ্ছে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো।
২০ দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি, সেটি ঠিক আছে। কিন্তু একই রকম গুরুত্ব যদি ২০ দলকে না দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে তারা নির্বাচনের আগে অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থের অন্যরকম কিছু ভাবতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির এখন ‘শ্যাম রাখি, না কূল রাখি অবস্থা। ঐক্যফ্রন্টকে খুশি করতে যেয়ে ২০ দলের শরিকদের সঙ্গে তাদের যে দূরত্ব বাড়েছে। এই দূরত্ব বেড়ে যাওয়া মনোনয়ন দাখিল পর্যন্ত চলতেই থাকে, তাহলে ২০ দলের অনেক শরিক আলাদা হয়ে নির্বাচন করার মতো সিদ্ধান্ত নিলেও তা অবাক করা কোনো বিষয় হবে না। আর এমনি ঘটলে ওই দলগুলো হয়তো জিতবে না, কিন্তু আওয়ামী লীগ বিরোধী ভোটটাকে বিভক্ত করে দেবে। আর নির্বাচনে সেটি বিএনপির জন্য মোটেই মঙ্গলজনক হবে না। এমনটি ঘটলে সেটি নির্বাচনে বিএনপির বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে বলেও মত বিশ্লেষকদের।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।