নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার পাকিস্তানের তৎপরতা বেড়ে গেছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ঢাকায় এবং লন্ডনে আইএসআইয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের একাধিক বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারেক জিয়াকে আইএসআই ‘নির্বাচনী সহায়তা’ দিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনেও বিএনপিকে অর্থ জুগিয়েছিল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এবারও নির্বাচনে বেশ কিছু প্রার্থীদের জন্য পাকিস্তানি অনুদান থাকবে বলে জানা গেছে। অবশ্য বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ‘বিএনপিতে যেন পাকিস্তানপন্থীরা কোণঠাসা না হয়, তাঁদের পছন্দের প্রার্থীরা যেন মনোনয়ন থেকে বাদ না পরে সেজন্যই পাকিস্তান তৎপর থাকে।’ তাঁর মতে, প্রতি নির্বাচনেই পাকিস্তান এটা করে। বিএনপির একটি সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিএনপির সম্পৃক্ততা পাকিস্তানকে কিছুটা হলেও বিচলিত করেছে। এতে করে বাংলাদেশে পাকিস্তানি স্বার্থের চির অবসান ঘটতে পারে বলে পাকিস্তানি কূটনীতিকরা মনে করছে। এজন্যই তারা তৎপর হয়েছে। সূত্র মতে, বিএনপির অন্যতম শরিক জামাত যেন ‘সম্মানজনক’ আসন পায় এবং বিএনপির মধ্যে যারা পাকিস্তানপন্থী রয়েছেন, তাঁরা যেন মনোনয়ন থেকে বাদ না পড়েন সেজন্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা লন্ডনে তারেক জিয়ার সঙ্গে অন্তত দু-দফা বৈঠক করেছে। জানা গেছে, তারেক জিয়া তাদের আশ্বস্ত করেছে যে জামাতকে অখুশি করা হবে না।
বাংলাদেশেও ঐক্যফ্রন্টের একজন বিএনপি নেতার সঙ্গে বাংলাদেশস্থ পাকিস্তান দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার দু-দফা বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। ঐ নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য। ঐ নেতার কাছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে কার কি অবস্থান তা জানতে চেয়েছে পাকিস্তানি কূটনীতিক। বিশেষ করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর যোগদান কতটা দরকার ছিল সেই প্রশ্ন উত্থাপন করেছে পাকিস্তান দূতাবাস। এছাড়াও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা যেন জামাতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা না বলে সে পরামর্শ দিয়েছে পাকিস্তানি দূতাবাসের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের কয়েকজনকে মনোনয়ন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে দূতাবাস। একই সঙ্গে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কৌশল এবং প্রার্থী সম্পর্কেও বেশ কিছু তথ্য বিএনপির হাতে দেওয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে পাকিস্তানের প্রধান নির্ভরতা হলো বিএনপি। নির্বাচনে যেন বিএনপি জামাত এবং পাকিস্তানপন্থীদের দূরে ঠেলে না দেয়, তা নিশ্চিত করতেই এবার নির্বাচনে পাকিস্তান তৎপর।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।