নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫০ এএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। সম্প্রতি ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন নিয়ে নানান রকম টানাপোড়েন, শরিকদের অযৌক্তিক দাবি, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আলাদা করে সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সাক্ষাৎকার গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিএনপির পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার উপস্থিতির মতো ঘটনা ঘটেছে। এ সমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ড.কামাল হোসেন নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কিছুদিন আগে ড. কামালকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ধানমন্ডির একটি আসনসহ ঢাকার দুটি আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয় এবং এই প্রস্তাবে রাজি হন ড. কামাল। এমনকি ঐক্যফ্রন্টের সর্বশেষ বৈঠকে জোটের সবাই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে এমন সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ঐক্যফ্রন্টে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব খর্ব হওয়া, তারেক জিয়া নেতৃত্ব গ্রহণ এবং শরিকদের আকাশসমান চাহিদা কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের মূল শরিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিফোনে বলেছেন, ‘ড. কামাল নির্বাচন করতে চান না।’ অবশ্য বিএনপির আরেক নেতা বলেছেন, ‘এগুলো তাঁর অভিমানের কথা। তিনি নির্বাচন করবেন। ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে বসে তাঁকে নির্বাচন করতে রাজি করানো হবে।’
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়া বিএনপি ব্রিটিশ দূতাবাস সারা কুক
মন্তব্য করুন
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল ঢাকাস্থ ব্রিটিশ দূতাবাসে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল ব্রিটিশ দূতাবাসে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক এক ঘণ্টার বেশি সময় তাদের সাথে বৈঠক করেন। এসময় ব্রিটিশ দূতাবাসে অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।