নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩১ এএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮
চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিএনপি তাঁদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বাতিল করে। পরে এই সংশোধিত গঠনতন্ত্রই নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া হয়। অনেকটা অগোচরেই গঠনতন্ত্রে এই সংশোধনের লক্ষ্যই ছিল দুর্নীতি দায়ে দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দুর্নীতি ও হত্যা-চেষ্টার দায়ে দণ্ডিত লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বে বহাল রাখা। কারণ, বিএনপির গঠনতন্ত্রে ৭ নম্বর ধারায় ‘কমিটির সদস্যপদের অযোগ্যতা’ শিরোনামে বলা ছিল, ‘নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যেকোনো পর্যায়ের যেকোনো নির্বাহী কমিটির সদস্যপদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তাঁরা হলেন: (ক) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৮-এর বলে দণ্ডিত ব্যক্তি। (খ) দেউলিয়া, (গ) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যক্তি, (ঘ) সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি।’
এদিকে, বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর হাইকোর্ট এই নির্দেশনা জারি করে। একই সঙ্গে এক মাসের মধ্যে বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধন কেন অবৈধ নয় এর ব্যাখ্যা ইসির কাছে চেয়েছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ের সার্টিফায়েড কপি অতি সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে এসে পৌঁছেছে।
জানা গেছে, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের সচিব এম হেলালউদ্দিন বলেছেন, এই রায়ে যেহেতু আমরা কোনো প্রতিপক্ষ না এবং রায় যেহেতু নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনো ভাবে সাংঘর্ষিক নয়, তাই নির্বাচন কমিশন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এ কারণে ইসি এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে কোনো আপিল করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপিকে আজ বা কালকের মধ্যে একটি চিঠি দেওয়া হবে। যে চিঠিতে বলা হবে, যেহেতু বিএনপির ৭ ধারা বাদ দেওয়া সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণযোগ্য নয়, সেহেতু দলটি তাদের নেতৃত্ব থেকে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিতদের বাদ দিয়ে নতুন নেতৃত্বের তালিকা যেন তাদের কাছে অতিসত্বর পাঠায়।
ইসি সূত্র আরও জানিয়েছে, বিএনপির নতুন নেতৃত্বের তালিকা নির্বাচন কমিশনের পাঠানো না হলে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ও রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালার শর্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, আরপিও ও রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী কোনো রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়া থেকে বিরত ও নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি। কিন্তু, ইসির এই দুটি আইনে এমন কোনো বিধান নেই, যার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো গঠনতন্ত্রে কোনো ধারা রাখবে কি রাখবে না, তা নির্ধারণ করতে পারে। এছাড়া কোনো দলের গঠনতন্ত্র গ্রহণ বা বর্জনের বিষয়েও ইসির সুনির্দিষ্ট কোনো বিধান নেই বলে মত আইনজ্ঞদের।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।