নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৫ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ. এম. এরশাদ থাকবেন অনেকটাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি সিএমএইচ হাসপাতালেই অবস্থান করতে চান বলে তাঁর বিশ্বস্তরা জানিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন বণ্টনের বিষয়টি সুরাহা করতে এরশাদ দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁর ভাগ্নে সরকারের এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে। বর্তমানে সরকারের সঙ্গে জাতীয় পার্টি বিষয়ে দূতিয়ালি করছেন মন্ত্রী রাঙ্গা।
এরশাদের ধারণা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাঙ্গাকে পছন্দ করেন, সরকারের সাথে সুবিধা আদায়ের জন্য রাঙ্গাই এখন এরশাদের শেষ ভরসা। তাছাড়া এ প্রক্রিয়ায় সরকারের সঙ্গে রওশন এরশাদের দূরত্বও হবে কিছুটা। চতুর এরশাদ এবার রাজনীতির দাবা খেলায় কোনো ভাবেই পরাজিত হতে চাননা। একাদশ জাতীয় সংসদে এরশাদই হতে চান সর্বেসবা তা কোনভাবেই স্ত্রী রওশন নয়।
এদিকে, রোববার রাত পর্যন্ত এরশাদের সঙ্গে দফায়-দফায় কথা বলেন রাঙ্গা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টিকে ৪৫টি আসন দেওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে জানানো হয়। জাতীয় পার্টি শরিকদের জন্য অন্তত: আরও ৫টি আসন দাবী করেছেন। এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির সাথে বেশ কয়েকটি ইসলামী দল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এখন তাদের জন্যই আসনের দেন-দরবার চলছে বলে জানা গেছে। এদিকে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে এরশাদের মনোনয়ন নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ অনেকটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। বর্তমানে ঐ আসনে সংসদ সদস্য আছেন আওয়ামী লীগের গাজী গোলাম দস্তগীর বীর বিক্রম। একটি শক্তিশালী শিল্প গ্রুপ গাজী গোলাম দস্তগীরের বিরুদ্ধে ঐ আসনে এরশাদকেই প্রার্থী করতে চান। ঐ শিল্প গ্রুপের আগ্রহকে এরশাদ বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন। গোপন সূত্র জানায়, ঐ আসন থেকে এরশাদ নির্বাচন করলে জাতীয় পার্টির সিংহভাগ নির্বাচনী খরচ ঐ শিল্প গ্রুপ বহন করবে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ঐ শিল্প গ্রুপের সাথে কথা-বার্তা বলছেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।