নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২১ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮
শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক এর প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং। পদকের শুরুতে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমি দেশের জন্য কাজ করি। নিজের নামে কোনো কিছু করার জন্য আমি কাজ করি না। আমার কাজের বিচার করবে জনগণ। নাম দেওয়া নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই। নিজের নামে কোনো কিছু করাতে আমি আগ্রহী নই।
আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক’ এর প্রস্তাব উঠবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বরাবরই দেশের অর্জনে নিজের নামকরণের বিপক্ষে। এর আগে পদ্মা সেতুতেও তাঁর নাম যুক্ত করার বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার আরেকবার নিজের নাম নয় নিঃস্বার্থ ভাবে দেশের সেবাই যে তাঁর লক্ষ্য উদ্দেশ্য তারই প্রমাণ রাখলেন প্রধানমন্ত্রী।
গত বছরের শেষে মিয়ানমারে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পারি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন, ১৬ কোটি মানুষের খাবার দিই৷ সেই সঙ্গে কয়েক লাখ মানুষকে খাবার দেওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে।’ এর পরই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার কথা প্রচার হয়। যুক্তরাজ্যের টেলিভিশন ‘চ্যানেল ফোর’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ আখ্যা দেন।
চলতি বছরই সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ‘শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি-সমাজকল্যাণ পদক’ প্রস্তাব করে। আগামী ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ‘শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি-সমাজকল্যাণ পদক’ চালু হওয়ার কথা। প্রতি বছর ২ জানুয়ারি জাতীয় সমাজসেবা দিবসে সমাজ উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচটি ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পদক দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।