নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বেশিদিন বাকি নেই। এবারের নির্বাচনকে বলা হচ্ছে যুবক-তরুণদের ভোট উৎসব। কারণ, নির্বাচনে কে বিজয়ী হবে তা এবার যুবক-তরুণরাই নির্ধারণ করবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নির্বাচনে যে দলগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তাদের মধ্যে একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কারোরই সংগঠিত যুব সংগঠন নেই। নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের উদ্দেশ্য করে রাজনৈতিক দলগুলোর বিশেষ কোনো কর্মসূচিও চোখে পড়ছে না।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সুশৃঙ্খল যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগই কেবল নির্বাচনকে ঘিরে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যুবক-তরুণ ভোটারদের উদ্দীপ্ত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে যুবলীগ। এর মধ্যে রয়েছে যুবলীগের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যাম্পেইন করা, মিডিয়াতে প্রচারের জন্য একাধিক লিফলেট তৈরি করা ইত্যাদি। এছাড়া তরুণদের জন্য সরকার কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতে তরুণদের নিয়ে সরকারের কী পরিকল্পনা রয়েছে সে বিষয়েও তরুণদের অবগত করছে আওয়ামী যুবলীগ।
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য কাজ করছি এবং তরুণ ভোটারদের স্বপ্নগুলো তুলে ধরাই আমাদের প্রচারণার প্রধান লক্ষ্য। তরুণদের জন্য রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যে কাজগুলো করেছেন সে কাজের ধারায় আগামীতে তরুণ-যুবকদের জন্য কী কী সুযোগ-সুবিধা তৈরি হবে সেটাই আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।’
আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন ভোটকে ঘিরে কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও দেশের আরেক বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির তরুণ ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করার মতো কোনো কর্মসূচি নেই বললেই চলে । নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির যুব সংগঠন যুবদলের কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা চোখে পড়েনি। তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা কোনো অবস্থানও গ্রহণ করেনি যুবদল, তরুণদের জন্য তাদের পৃথক কর্মসূচি নেই। । বরং যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ একাধিক নেতা বিভিন্ন মামলার আসামি। সাংগঠনিক কর্মসূচির বদলে তাদের মামলা-মোকদ্দমা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।
এছাড়া সমসাময়িক দেশীয় রাজনীতির আলোচিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো যুব ফ্রন্ট আমাদের নজরে আসেনি। ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক গণফোরাম কিংবা নাগরিক ঐক্যের কারোরই কোনো যুব সংগঠন নেই। যুব কেন্দ্রিক রাজনীতির বদলে বরং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সুশীল সমাজের নামে প্রবীণ-বৃদ্ধ নেতাদের নেতৃত্বে আনতে উৎসাহিত করতে দেখা গেছে।
কোনো নির্বাচনেই বাম দলগুলোর তেমন কোন প্রভাব না থাকলেও এই দলগুলোর যুব সংগঠন রয়েছে। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই যুব সংগঠনগুলোরও কোনো কর্মসূচি বা উদ্যোগ নজরে আসেনি।
দেখা যাচ্ছে, তরুণ-যুবকদের ভোট উৎসব বলে যে নির্বাচনকে অভিহিত করা হচ্ছে, সে নির্বাচনকে ঘিরে একমাত্র আওয়ামী যুবলীগ ছাড়া আর কোনো যুব সংগঠনেরই কোনো তৎপরতা নেই। যুব সংগঠনগুলোর এই নিষ্ক্রিয়তা নির্বাচনের আগেই নির্বাচনের জন্য একটি বড় হোঁচট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জুনাইদ আহমেদ পলক নাটোর তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জুনাইদ আহমেদ পলক টানা তিনবারের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু রাজনীতিতে তার পদ পদবী তেমন নেই। রাজনীতিতে এখনও তিনি তরুণ এবং পিছনের সারির নেতা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন সময়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। কখনও বিতর্কিত হয়েছেন। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তার পরীক্ষা হলো এবার এবং সেই পরীক্ষায় তিনি শুধু কৃতকার্যই হননি, এ প্লাস পেয়েছেন বলেও অনেকে মনে করছেন।
দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস পর রাজপথের কর্মসূচি ঘোষণা তা আবার প্রত্যাহার করতে হলো ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিকে। এবার প্রকৃতিও যেন বিএনপি সঙ্গে বৈরি আচরণ করলো। আগামী শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের কারাবন্দী নেতা কর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশের ঘোষণা করেছিল দলটি। আর এই সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে আবার রাজপথে আন্দোলনের কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছিল ক্ষমতার বাইরে থাকা এই রাজনৈতিক দলটি।