নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮
দীর্ঘ ১২ বছর পর মুখোমুখি হলেন তারেক জিয়া এবং জহির উদ্দিন স্বপন। স্বপনকে দেখেই হেসে উঠলেন তারেক। জিজ্ঞেস করলেন, ‘কি আশ্চর্য আপনি মন্ত্রী হননি?’ আচমকা এই কথায় একটু লজ্জায় পড়েন স্বপন। এরপর জহির উদ্দিন স্বপন অতীতের ভুলের জন্য তারেকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আজ দুপুরে জহির উদ্দিন স্বপন গুলশানে বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের সামনে বসেছিলেন সাক্ষাৎকার দিতে।
একসময় তুমুল বামপন্থী এই ছাত্র নেতা ছাত্র মৈত্রী করতেন। তারেকের আগ্রহেই তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালে তিনি বরিশালের একটি আসন থেকে বিএনপির টিকিটে এমপিও হয়ে যান। এসময় হাওয়া ভবনের লোক হিসেবেই পরিচিতি পান স্বপন। কিন্তু ওয়ান-ইলেভেনের পর জহির উদ্দিন স্বপন পুরো উল্টে যান। হয়ে যান সংস্কারপন্থী। এসময় স্বপন তারেক আর খালেদাকে রাজনীতি থেকে হটানোর পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখা শুরু করেন। তারেক ঘনিষ্ঠরা বলেন, মন্ত্রী হতে না পারার ক্ষোভেই স্বপন সংস্কারপন্থী হয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি সহ আরও অনেক বহিস্কৃত সংস্কারপন্থী বিএনপিতে ফিরেছেন। আজ এক যুগ পর তারেকের মুখোমুখি হলেন জহির উদ্দিন স্বপন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।