ইনসাইড পলিটিক্স

ঐক্যের ঘরে তারেকের আঘাত - ভাঙছে ঐক্যফ্রন্ট!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০৫ এএম, ২০ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

আজব এক নাটক শুরু হয়েছে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে। পূর্বের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যে প্রতিবাদের ভাষা ছড়াতে চেষ্টা করে বিএনপি তার গোড়ায় সরকার পানি ঢেলে দেয় উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড দিয়ে।  নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও উন্নয়নের ইচ্ছা শক্তির নিকট পরাস্ত হয় বিএনপির প্রতিবাদ।  উপরন্তু সামনে চলে আসে তাদের নেতৃত্বের নানাবিধ অপকর্ম। আইনের বিচারে দণ্ডিত হয়ে বিএনপি হয়ে পড়ে নেতৃত্ব শূন্য।

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি যখন বুঝতে পারে তাদের নেতাদ্বয় কেউ আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না তখন রাজনীতিতে টিকে থাকতে চলে এক অভূতপূর্ব সমীকরণ। বিএনপি চেষ্টা করেছে নানা ভাবে জনগণকে জাগিয়ে তুলতে অন্তত একটি আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে। একদিকে যেমন চলেছে এই প্রয়াস, অন্যদিকে ছদ্মবেশে সরকারের দরজায় করেছে দাপ্তরিক আঘাত।  কিন্তু কোনো কিছুতেই কিছু করতে না পেরে যখন তারা হতাশ, ঠিক সেই সময়ে লন্ডনস্থ হুকুমে গঠিত হয় ঐক্যফ্রন্ট। 

ঐক্যফ্রন্টের গঠন এবং তাদের পরবর্তী জনসমাবেশে দেওয়া ভাষণের সঙ্গে বর্তমান ঐক্যফ্রন্টের মাঝে বিশাল এক ব্যবধান চোখে পড়ছে বলেই অনেকের ধারণা। 

দিন যত এগিয়ে চলেছে, ভিন্ন ভিন্ন নিতির মানুষদের মতপার্থক্য ততই সামনে চলে আসছে। 

ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে একটি বক্তব্যই ছিল, নির্বাচন শেষ না হওয়া অবধি তারেক রহমানকে সম্মুখে আনা যাবে না।  তারেক রহমানের অপরিচ্ছন্ন ইমেজ শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও নানা ভাবে প্রকাশিত।  সেই বিষয়কে মাথায় রেখে ড. কামালকে সেই স্থানে স্থলাভিষিক্ত করা হয়। কারণ ড. কামালের দেশে বিদেশে একটি ইমেজ রয়েছে। যদিও তিনি উল্লেখ করার মতো কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়। 

তাদের যাত্রা শুরুই হয়, অনেকটা ধোঁয়াশা রেখে। জনগণকে বলা হচ্ছে একটি, কিন্তু তাদের অভ্যন্তরে রয়েছে আর একটি।

ড. কামাল তিনি চেয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের সকল আলোচনা, সকল কিছুই নির্ধারণ হবে নিজেদের বৈঠকে। কিন্তু বিএনপির তৃণমূল সেটা মেনে নেয়নি, তৃণমূলের সঙ্গে বেশ বেশি সম্পৃক্ত অনেক উচ্চ পর্যায়ের নেতাও সেটা মেনে নেয়নি।  তবে তারা প্রকাশ্যে এর বিরোধিতাও করেন নি।  কিন্তু যেই মুহূর্তে ড. কামাল কাদের সিদ্দিকী কে সম্পৃক্ত করলেন, সেই মুহূর্তে বিএনপির মধ্যে বডি ল্যাংগুয়েজ বেশ পরিবর্তন এসে গেলো।

বেশ জোরেশোরেই শোনা যায়, এমন ঘটনার পর পাকিস্তান ভিত্তিক আইএসআই বেশ তৎপর হয়ে ওঠে।  তারা অনেকটা হতাশ হয়ে পড়ে বলে জানা যায়। কাদের সিদ্দিকীর অংশগ্রহণ পাকিস্তান ভালোভাবে নেয়নি। কাদের সিদ্দিকী মুখে যাই বলুক সেটা তারা বিশ্বাস করেনি।   কারণ বাংলাদেশের মাটিতে জামাতকে ধরে রাখতে, সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব ধরে রাখতে পাকিস্তান সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। বিএনপির সঙ্গে জামাত ভিত্তিক রাজনীতিতে পাকিস্তান আইএসাই বেশ মোটা অংকের একটি হিসাব সব সময় রেডি রাখে। 

প্রশ্নটা শুরু হয় এখান থেকেই, কারণ ঐক্য ফ্রন্টের নেতৃত্বে যদি ঐক্যফ্রন্টের সকল দলের নমিনেশন যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাহলে জামাতের প্রার্থী সবচেয়ে বেশি বিরোধিতার মুখোমুখি হবে এটা বলা বাহুল্য।  কারণ ঐক্যফ্রন্টের অনেকের জামাত ব্যাপারে ফোভিয়া আছে।

কিন্তু পাকিস্তান ভিত্তিক আইএসআই সেটা চায়না। বাতাসে এমন সংবাদ ভেসে বেড়াচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে জামাত দলের পর্যাপ্ত সদস্যদের নমিনেশন দেবার  জন্য পাকিস্তানের কোন সদস্যদের সাথে বাংলাদেশে লবিস্টে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে।

মূলত নাটক এই অবস্থা থেকেই ঘুরে যায়। 

পূর্বের দিন ঐক্যফ্রন্টের মিটিং এ নেয়া সিদ্ধান্ত পালটে যায়। বিএনপির নির্বাচনে নমিনেশন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার নিতে দৈব ভাবে আবির্ভূত হয় ভিডিও কনফারেন্সে তারেক রহমান।  প্রতিবাদ জানায় একমাত্র গণফোরাম।  শুধু তাই নয়, ঐক্যফ্রন্টের নমিনেশন তালিকা তারেকের নিকট পাঠাতে আদেশ জারি হয়েছে।

তারেক রহমানকে আড়াল করতে ড.কামালের আগমন, এমন স্বীকারোক্তি দিয়ে ভিন্ন কারণে ব্যারিস্টার মইনুল এখন কারাগারে।  অথচ দৈব ভাবে তারেক রহমানের আগমন জানিয়ে দিয়েছে তিনি আর আড়ালে নেই। বরং শতভাগ কর্তৃত্ব নিয়ে তিনি আবির্ভূত ঐক্যফ্রন্টের রাজনৈতিক অঙ্গনে। 

তাহলে ঐক্যফ্রন্টের গঠন এবং তারেক রহমানের স্কাইপিতে প্রার্থী সাক্ষাতকার এই দুইয়ের বিয়োগফল যা কিছু সব কিছুর মধ্যেই রয়েছে অতিগোপনীয় অথচ জনগণের চোখে ধুলা দেবার মতো ঘটনা সমূহ। 

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, দেশের মানুষের মুখে একটি প্রশ্ন ঘুরে ফিরছিল, " যদি জয়লাভ করে, কে হবে ঐক্যফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী " নানা ভাবে এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে তারা অবতারণা করেছিলো নানা উদাহরণ। 

শেষ অবধি গণ স্বাস্থ্যের ট্রাস্টি জাফর উল্লাহ সাহেব গতকাল এক টকশোতে নিজেকে আর লুকিয়ে রাখতে পারেন নি।  সে উত্তর দিয়েছে, অবশ্যই গণফোরাম নেতা ড. কামাল।

তিনি এটাও বলেছেন, ইতিহাস রচনা করতে চলেছেন ড. কামাল। অনেকটা অতিমানব হিসাবেই তুলে ধরেছেন ড. কামাল কে। 

একদিকে তারেক রহমান বাংলাদেশ আইনে দণ্ডিত হয়েও ভিডিও কনফারেন্সে প্রার্থী নির্বাচন করে ইতিহাস তৈরি করছেন, অন্যদিকে জাফর উল্লাহ্‌ সাহেব ড. কামালকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাইছেন। 

অন্যদিকে মাহমুদুর রহমান মান্নার চাহিদা নিয়ে বিপাকে বিএনপি।  এই ত্রিভুজ রাজনৈতিক টানা পোড়নে ঐক্যফ্রন্ট দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না এমন অভিমত অনেকের। 

বিশেষ করে তারেক রহমানের কর্তৃত্ব দৈব ভাবে সামনে চলে আসাকে মোটেও মেনে নিতে পারেনি ড. কামাল। তেমনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ড.কামালকে মেনে নেবে না তারেক রহমান।  পাকিস্তান ভিত্তিক আইএসআই জামাতের প্রার্থী দের প্রাধান্য থাকবে না সেটা মেনে নিতে পারবে না, মান্নার অতিরিক্ত আসনের দাবি বিএনপি মেনে নিতে পারবে না।  ড.কামাল যদি কোন ভাবে নিজের অবস্থান বুঝতে পেরে উপলব্ধি করতে পারে যে, বিএনপি তার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে।  আর তখন জনগণকে দেয়া ওয়াদা প্রতিফলিত হবে না। পক্ষান্তরে অপমানিত হয়ে বেরিয়ে যেতে পারে, তাহলে আ. স. ম. আবদুর রব, মান্না, জাফর উল্লাহ্‌ গং দের অবস্থান কি হবে সেটা অনুমেয়। 

আর তাই অনেকেই বলছে ঐক্যজোট ভাংছে, সেটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। 

অন্যদিকে বিএনপি এবার নির্বাচনে যাবেই নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখতে। যদি এমন হয় যে, বিএনপি তাদের প্রধান টার্গেট খালেদা জিয়া, বা তারেক রহমানকে মুক্ত করতে পারছে না তাহলে দেশের মানচিত্রে নামিয়ে দেবে ভয়াবহ অবস্থা।

তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাই যে তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য সেটার প্রমাণ তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্স। 

নির্বাচন এবং দেশের স্থিতিশীলতা রয়েছে ২য় অধ্যায়ে বলেই চারদিকে শোনা যায়।

বহুমুখী টানাপোড়ন এবং স্বার্থের দণ্ডে রাজনৈতিক অঙ্গনে কি পারবে তাদের বলা কথাগুলির বাস্তব রুপ দিতে? 

নাকি বিএনপির একচ্ছত্র অধিপতি তারেক রহমানের দৈব ভাবে আগমনে ঐক্যজোটের ঐক্যপক্রিয়া অঙ্কুরেই বিনষ্ট হবে?

সময় তার উত্তর দিয়ে দেবে। অন্যদিকে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফসল নিয়ে আওয়ামীলীগ কতটা জনমনে নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে পারবে বা পেরেছে তার ফলাফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত। 

লেখক: কলামিস্ট, সাধারণ সম্পাদক, দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনে পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতিটি ধাপেই ভোটের দিন পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে-এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। ইসির উচ্চপর্যায়ের সভায় গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য জানিয়েছেন।

একটি গোয়েন্দা সংস্থা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ৭৮টি, দ্বিতীয় ধাপে ৭০টি ও তৃতীয় ধাপে ৪০টি উপজেলায় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। আরেকটি সংস্থা জানিয়েছে, শুধু প্রথম ধাপে ৪৯টি উপজেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করেছে। ভোটের দিন পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে-নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আভাস দিয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে ইসিকে পরামর্শ দিয়েছেন এ দুটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।

তবে তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন প্রতিহতের বড় ধরনের কর্মসূচি নেই। 

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বৈঠকে এমন আভাস দেওয়া হয়। ওই সভায় পরিস্থিতি অবনতির বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ২৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 
অনেক উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী প্রার্থী রয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও রয়েছে। ওই রেশে ভোটের দিন খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বৈঠকে আরও বলা হয়, বিএনপি ও জামায়াত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে। তবুও বিচ্ছিন্নভাবে বিএনপির ১১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জামায়াতেরও পাঁচজন মাঠে রয়েছেন। এসব উপজেলায় সহিংসতার শঙ্কা বেশি। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আরও জানা যায়, সভায় সাম্প্রতিক ঘটনায় অতি নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় বান্দরবানের থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি উপজেলাগুলোয় ২০১৯ সালের তুলনায় এবার আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তা বলয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এবার সাধারণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় তিনজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৬ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭-১৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পাঁচজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৮-১৯ জন নিয়োজিত হবেন। 

ওই সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, সভায় উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে-এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে বেশিসংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। চার ধাপে ভোট হওয়ায় জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে উপজেলাভিত্তিক বিজিবি মোতায়েন করা হবে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, প্রতি উপজেলায় সর্বনিম্ন দুই প্লাটুন এবং সর্বোচ্চ চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে।

নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, একই দলের একাধিক প্রার্থী ভোটে অংশ নিচ্ছেন। এমনকি যেসব দল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে, তাদেরও প্রার্থী রয়েছেন বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে। ফলে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তবে নির্বাচনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা নেই। 

তিন উপজেলা নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিশেষ করে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। আপাতত এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন করা হবে’। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে রুদ্ধদ্বার এ সভা। সভায় চারজন নির্বাচন কমিশনার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বিজিবি, র‌্যাব, কোস্ট গার্ড ও আনসারের মহাপরিচালক অংশ নেন। এছাড়া পুলিশের আইজি, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও এনএসআই-এর মহাপরিচালকের পক্ষে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশন এ পর্যন্ত চার ধাপে ৪৭৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছে। প্রথম ধাপে ১৪৮টি উপজেলায় ৮মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯টিতে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২টিতে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫টিতে ৫ জুন ভোট হবে।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ২৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচরে ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এ চার উপজেলায় ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হবে না।

বৈঠক সূত্র জানায়, পুলিশ ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বৈঠকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কার কথা জানান। একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বৈঠকে বলেন, অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ২৬ প্রার্থী নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। বিএনপি-জামায়াতেরও প্রার্থী আছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনে পর্যাপ্ত কোনো ঝুঁকি না থাকলেও ভোটের দিন খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। প্রথম ধাপের ৪৯টি উপজেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এ নির্বাচনে ৬৯টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। এ মেশিনে ভোটগ্রহণ বিলম্ব হলেও পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। 

আরেক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তফশিল ঘোষিত তিন ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপের ৭৮টি, দ্বিতীয় ধাপের ৭০টি ও তৃতীয় ধাপের ৪০টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে সভায় উল্লেখ করেন। তিনি আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং বিচ্ছিন্নভাবে বিএনপির ১১৬ জন প্রার্থী মাঠে থাকার কথা জানিয়ে বলেন, এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। যেহেতু সব এলাকা সমান ঝুঁকিপূর্ণ নয়, তাই ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সভায় পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারি দলের একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। র‌্যাবের মহাপরিচালক জানান, র‌্যাব মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে। তবে পরিস্থিতি অবনতি হলে রিটার্নিং ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে র‌্যাব ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করবে।


উপজেলা নির্বাচন   গোয়েন্দা সংস্থা   ইসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ব্যারিস্টার খোকনের অব্যাহতি নিয়ে বিএনপিতে বিভক্তি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ ও তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় ফোরামের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিভক্ত স্পষ্ট।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির দুজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, তাদের কাছে মনে হয়েছে বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। ব্যারিস্টার খোকন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাতবারের সম্পাদক। তিনি দলেরও একজন সিনিয়র নেতা। তার মতো নেতাকে এভাবে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়ে অসম্মানিত করাটা মোটেই ঠিক হয়নি। 

বিএনপি নেতারা বলছেন, ফোরামের ভেতরকার অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে মাহবুবউদ্দিন খোকনকে কোণঠাসা করার অপচেষ্টা করছে একটি পক্ষ। ওই পক্ষটি ফোরামের একক নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে। যেটি খোকনের জনপ্রিয়তার কাছে আদৌ সম্ভবপর হয়ে উঠছে না, সেটিও তারা জানে।  

অন্যদিকে ব্যারিস্টার খোকনের সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সেক্রেটারি ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বক্তব্য দেওয়াটাও সমীচীন হয়নি বলে মনে করেন কেউ কেউ। 

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন তার অব্যাহতি নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের বিরুদ্ধে। যা নিন্দনীয় ও অরুচিকর। তার মতো সিনিয়র নেতার কাছে এমনটা আশা করিনি। 

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার কায়সার কামালকে অর্বাচীন বালক ও কুলাঙ্গার আখ্যায়িত করে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন বলেন, সময় এসেছে তাকে দল থেকে বহিস্কারের। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই তিনি বার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বলেও দাবি করেন খোকন। কায়সার কামালের নৈতিক স্খলনের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটিকে অনুসন্ধানের আহবানও জানান বিএনপি থেকে নবনির্বাচিত বার সভাপতি খোকন। 

এর আগে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব খোকনকে ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চিঠি দেওয়া হয় গত শনিবার। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে অব্যাহতির কথা জানানো হয়। এ নিয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন খোকন। তিনি কায়সার কামালকে ‘অর্বাচীন বালক’ বলে আখ্যায়িত করেন। নৈতিক স্খলনের কারণে দল থেকে কায়সার কামালের বহিষ্কারও দাবি করেন।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেওয়া হচ্ছে বিএনপি নেতা মিন্টুকে

প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তিনি থাই এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে থাইল্যান্ড রওনা হয়েছেন।

বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তার চিকিৎসা সেবা নেওয়ার কথা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মিন্টু ।

১৯ এপ্রিল রাত ২টার দিকে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

থাইল্যান্ড   আবদুল আউয়াল মিন্টু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:১৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহে হিট অ্যালার্টের মধ্যে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়ের কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টিতে দেশের আবহাওয়া অত্যন্ত উষ্ণ হয়ে পড়েছে। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। একদিকে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে অনাবৃষ্টিতে মানুষ, পশু-পাখি ও জীব-জন্তুর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। একমাত্র মহান রাব্বুল আলামীনই আমাদেরকে এহেন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ দিতে পারেন। 

তিনি আরও বলেন, সারা দেশের মানুষ গরমে কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক-শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষ কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একজন রিকশাওয়ালা প্রচণ্ড গরমে মারা গেছেন। দেশে বিরাজমান এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ তাআলার অবারিত রহমত তথা বৃষ্টি কামনা করে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ করার জন্য ওলামায়ে কেরাম, জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসী সবার প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। 

এই জামায়াত নেতা বলেন, এ জন্য আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ এপ্রিল) জামায়াতে ইসলামীর সকল সাংগঠনিক শাখার উদ্যোগে জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সালাতুল ইস্তিসকার আদায়ের কর্মসূচি সফল করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

জামায়াত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন