নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ২০ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান লে. জে. (অব.) হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ গত শনিবার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হয়েছিলেন। তবে বেশিদিন সেখানে অবস্থান না করেননি তিনি, পরদিন রোববারই হাসপাতাল থেকে বাড়ি চলে যান। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, হাসপাতাল থেকে প্রেসিডেন্ট পার্কের নিজের বাড়িতে না গিয়ে যেখানে সাধারণত থাকেন না সেই গুলশানের ফ্ল্যাটে উঠেছেন এরশাদ । নির্বাচনকে সামনে রেখে এরশাদের এমন রহস্যময় আচরণ নিয়ে আলোচনায় মুখর রাজনৈতিক মহল।
এরশাদের এমন অদ্ভূত আচরণের মধ্যেই আজ মঙ্গলবার থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদের আসন ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে এরশাদের সমঝোতা হয়নি। জাপার জন্য এরশাদের দাবিকৃত ১০০টি আসন দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে জাপা চেয়ারম্যানের। আবার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গেও জাপার একাধিক নেতাকে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে দেখা যাচ্ছে। তাই জাপা শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গে নির্বাচন করবেন না বলেই মনে করছেন অনেকে। বরং বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জাপার নির্বাচন করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এরশাদের জাপা শেষ পর্যন্ত মহাজোটের সঙ্গে, নাকি ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে নির্বাচন করে নাকি এককভাবে নির্বাচন করবে তা জানার জন্য খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচন বিষয়ে এরশাদের সিদ্ধান্ত জানা যাবে আজকালের মধ্যেই।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।