নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩০ এএম, ২০ নভেম্বর, ২০১৮
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত দুদিন ধরেই চলছে নির্বাচনে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার। বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডটি এররকম: টেবিলের একপাশে বসে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। স্থায়ী কমিটির বাইরে ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েও মনোনয়ন বোর্ডে উপস্থিত আব্দুল আউয়াল মিন্টু। অবশ্য তাঁর উপস্থিতির কারণ তারেক জিয়া। দুই মামলায় দণ্ডিত লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়াও মনোনয়ন বোর্ডে উপস্থিত স্কাইপে মারফত। টেবিলে দুটি কাগজের প্যাকেটের ওপর বসানো ল্যাপটপটি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দিকে তাক করা। তারেক জিয়া লন্ডনে বসে মনোনয় প্রত্যাশীদের দেখছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তারেক জিয়াকে দেখছেন ল্যাপটপের পর্দায়। কথা বার্তার প্রায় সবটুকুই তারেক জিয়া বলছেন। ল্যাপটপের পেছনে বিরস বদনে চুপচাপ বসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। প্রশ্ন উঠতেই পারে লন্ডনে বসে কীভাবে মনোনয়ন কনফার্ম করছেন তারেক জিয়া?
ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, তারেক জিয়ার ক্যাশিয়ার বলে পরিচিত আব্দুল আউয়াল মিন্টু মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মনোনয়ন কনফার্ম করছেন। মনোনয়ন সাক্ষাৎকার শেষে প্রতিদিন রাতে ক্ষুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে আব্দুল আউয়াল মিন্টুর কাছ থেকে মনোনয়ন কনফার্ম পাচ্ছেন অনেকে।
অবশ্য মাঝে কিছু বিষয় আছে। মনোনয়ন প্রত্যাশী যাঁরা যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ ক্যাশিয়ারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন, তাঁরাই রাতে ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে।
বিএনপির কয়েকজন নেতা নিশ্চিত করেছেন, মনোনয়ন সাক্ষাৎকার নেওয়ার বিষয়টি শুধুই আইওয়াশ। মূল বিষয় হলো মনোনয়ন বাণিজ্য। শুধু এ কারণেই এই সময়ে মনোনয়ন সাক্ষাৎকারে এত কসরত করে লন্ডন থেকে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন তারেক জিয়া। আর দেশে সব লেনদেন হচ্ছে তাঁর ক্যাশিয়ারে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন