নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২০ নভেম্বর, ২০১৮
ফরিদপুর-৪ (সদরপুর-চরভদ্রাসন-ভাঙ্গা) আসনে কপাল পুড়তে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহর। এ আসনে কোন ভাবেই ছাড় দিতে চাননা জাকের পার্টির চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সাল। আটরশির এ আসনটি তাদের নিজের আসন বলেই মনে করেন জাকের পার্টি। আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড ও ইতিমধ্যে মোস্তফা আমীর ফয়সালকে এ আসনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে। জাকের পার্টির পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালানো হচ্ছে মোস্তফা আমীর ফয়সালের পক্ষে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতে পীরজাদা ফয়সাল প্রার্থী হলেও শেষ মুহূর্তে গিয়ে তিনি আওয়ামী লীগকে ছাড় দেন। কিন্তু এবার তিনি নাছোড়বান্ধা। কোনোভাবেই ছাড়তে নারাজ আটরশি অধ্যুষিত ফরিদপুর-৪ আসনটি। জাকের পার্টির নাছোড়বান্ধা মনোভাবে বেকায়দায় পড়েছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ। বর্তমানে এ আসনে সংসদ সদস্য আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিক্সন চৌধুরী । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকটাত্বীয় নিক্সন চৌধুরী এলাকায় তাঁর বেশ প্রভাব রয়েছে। গত নির্বাচনে কাজী জাফরুল্লাহ অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের কাছে। নির্বাচনে জয়ী হয়ে নিক্সন চৌধুরী এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করে কাজী জাফরুল্লাহকে পর্যুদস্ত করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বা চনে জাকের পার্টি মহাজোটে শরিক হয়ে অন্তত: ৩টি আসনে তারা প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।