নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ২০ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ইস্যুতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপর বেজায় চটেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ঢাকা-১ (নবাবগঞ্জ-দোহার) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিশ্চিত করা হয়েছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা শিল্পপতি সালমান এফ রহমানকে। বর্তমানে এ আসনে সংসদ সদস্য রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য যমুনা গ্রুপের নুরুল ইসলাম বাবুলের সহধর্মীনি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। আওয়ামী লীগ আগেভাগে ঢাকা-১ আসনে সালমানকে প্রার্থী ঘোষণায় বেশ বিপাকে পড়েছেন এরশাদ। একাধিক সূত্র জানায়, জাতীয় পার্টির অর্থ যোগানদাতাদের মধ্যে যমুনা গ্ররুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল অন্যতম। শুধুমাত্র অর্থ যোগানদাতার কারণেই দলের সর্ব্বোচ নীতি-নির্ধারণী প্রেসিডিয়াম সদস্য পদটি বাগিয়ে নেন সালমা ইসলাম।
এইচ এম এরশাদ ঘনিষ্ঠজনদের ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব সময় নিজেদের স্বার্থকে বড় করে দেখে। আসন বন্টন নিশ্চিত করা নিয়ে জাপার সাথে আওয়ামী লীগের কোনো সমঝোতা হয়নি। কিন্তু সালমান এফ রহমান মাঠে নিজেকে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচার চালাচ্ছেন, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এরশাদ জানান, যে কোনো ভাবেই হোক ঢাকা-১ আসনটি জাতীয় পার্টি নিজেদের দখলে রাখতে চায়।
এ বিষয়ে জাপা মহাসচিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, আমরা ৩শ আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখনো মহাজোটের সঙ্গে আমাদের চূড়ান্ত কোনো ফয়সালা হয়নি। সালমা ইসলাম ঢাকা-১ আসনে যেহেতু সংসদ সদস্য আছেন, আগামীতেও আমরা জাতীয় পার্টির প্রার্থী তাঁকেই রাখবো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে যদি সালমান এফ রহমান মনোনয়ন পান তাহলে জাপা মহাজোটে অর্ন্তভূক্ত হলে সালমা ইসলামের ভাগ্যে কি পরিণতি হবে?
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।