নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০১৮
অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবার বানাবেন ‘অবাক বাংলাদেশ’। গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিস্ময়কর ভাবে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। সেই বিস্ময়কর অগ্রযাত্রার গল্পই শোনাবেন বি. চৌধুরী।
অধ্যাপক বি. চৌধুরী ২০০১ সালে ছিলেন বিএনপির নীতি নির্ধারক। সেবারের নির্বাচনে দলটির নির্বাচনী প্রচারণার মূল ডকুমেন্টারি ‘সাবাস বাংলাদেশ’ বানিয়েছিলেন তিনি ও তাঁর পুত্র মাহি বি. চৌধুরী। ওই প্রামাণ্যচিত্রটি পরিচালনা করেছিলেন মাহি বি. চৌধুরী এবং উপস্থাপনা করেছিলেন অধ্যাপক বি. চৌধুরী। প্রামাণ্যচিত্রে বি. চৌধুরী একহাতে কোরআন এবং অন্য হাতে গীতা রেখে বলেছিলেন যে, ‘আপনারা কোন শাসন চান?’ সেসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভারতের সেবাদাসসহ নানারকম অভিযোগ তুলেছিল তিনি।
‘সাবাস বাংলাদেশ’ প্রামাণ্যচিত্রটি ২০০১ সালের নির্বাচনে একধরনের নীতি- নির্ধারণের ভূমিকা পালন করেছিল। তার পুরস্কার হিসেবেই অধ্যাপক বি. চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল। আর বিটিভি চলে গিয়েছিল মাহি বি. চৌধুরীর দখলে। কিন্তু এ অবস্থা বেশিদিন টেকেনি। এরপর নানা চড়াই উতরাই পার হতে হয়েছে তাদের। সে গল্প সবাই জানেন। শেষে এসে অধ্যাপক বি. চৌধুরী এবং তার পুত্র আওয়ামী লীগের ঘাটে নৌকা ভিড়িয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বি. চৌধুরীর প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বি. চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন যে, তিনি এবারের নির্বাচন উপলক্ষে একটি প্রামাণ্যচিত্র বানাচ্ছেন। প্রামাণ্যচিত্রটির শিরোনাম হবে ‘অবাক বাংলাদেশ’। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্প এবং সাফল্যগাঁথা এই প্রামাণ্যচিত্রে তলে ধরা হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।