নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০১৮
সুশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন’ এর নির্বাচনকেন্দ্রিক কিছু তৎপরতা নিয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, সুজন পরিচালিত ভোটারদের প্রশিক্ষণ প্রদাণ এবং নির্বাচনী সচেতনতা সৃষ্টির কর্মসূচিতে তারা আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১০ বছরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করছে। সম্প্রতি এ ধরনের কয়েকটি প্রশিক্ষণ ভিডিও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা সেলের হাতে এসেছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হওয়ায় এই ভিডিওগুলো নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা সেল।
জানা গেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে কাজ করছে সুজন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী এজেন্ট এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সুজনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই উদ্দেশ্যে গত ১৫ আগস্ট মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটকে তিনি মোহাম্মদপুরে নিজের বাসায় নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান। সেই নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন ড. কামাল হোসেনসহ নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বর্তমান অনেক নেতা। সেদিনই মূলত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গঠন পরিকল্পনার বীজ অঙ্কুরিত হয় বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা। এছাড়া বদিউল আলম মজুমদার সবসময়ই আওয়ামী লীগ সরকারের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারের নীতি ও কর্মকাণ্ডের ঘোর বিরোধী তিনি। এই নির্বাচনেও বদিউল আলম মজুমদার সরকার বিরোধী অবস্থান নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেন, ‘যেহেতু সুজনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তাই নির্বাচন কমিশনে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করব, যাতে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ না পায়।’
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।