নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০১৮
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরই ২১ নভেম্বর সেনাকেুঞ্জে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। দেশের সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, গুণীজনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেনাকুঞ্জ পরিণত হয় এক মিলন মেলায়। দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকলেও গত পাঁচ বছর ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান ছাড়া বিএনপির শীর্ষ কোনো নেতা সেনাকুঞ্জে যাননি। খালেদা জিয়াকে সেনাবাহিনীর বাড়ি থেকে উঠিয়ে দেওয়ার পর এতদিন ধরে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠান এক অর্থে বর্জন করে এসেছে বিএনপি। কোনো নেতাকর্মীর সেখানে না যাওয়ার কঠোর নির্দেশ ছিল বলেই জানা যায়। এবারই তার ব্যতিক্রম ঘটল। আজ সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে কিছুক্ষণের জন্য হাজির হয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে বেগম জিয়ার কারাবন্দী হওয়ার হওয়ার পর এটিই সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রথম অনুষ্ঠান। আর সেখানেই বিএনপির মহাসচিবের উপস্থিতি নিয়ে দলটিতে চলছে তোলপাড়।
জানা গেছে, বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা মির্জা ফখরুলের সেনাকুঞ্জে যাওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। অনুষ্ঠানে না যেতে বিএনপি মহাসচিবকে তিনি অনুরোধ করেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম তাঁকে বলেন, নির্বাচনের আগে সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে যাওয়াকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে গিয়ে কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করেন। সেখান থেকে বের হওয়ার পরপরই লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার ফোন আসে তাঁর কাছে। তারেক জিয়া বিএনপির মহাসচিবের সেনাকুঞ্জে যাওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। মির্জা ফখরুলের কাছে তিনি জানতে চান, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি? অবশ্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাননি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি জনপ্রিয় নেতা কর্নেল অলি আহমদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।