নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ২২ নভেম্বর, ২০১৮
বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষ হয়েছে গতকাল বুধবার। জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি থেকে কে কোন আসনে মনোনয়ন পাবেন তা ইতিমধ্যেই ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু মনোনয়ন প্রাপ্তদের নাম এখনই প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। ৮ ডিসেম্বরের আগে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে না তারা। বরং বিএনপির নীতিনির্ধারক সূত্রগুলো বলছে, প্রতিটি আসনে তারা দুই থেকে তিনজন করে মনোনয়ন প্রত্যাশীকে দিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়াবেন।
এমন সিদ্ধান্তের পেছনে তিনটি কারণ কাজ করেছে বলে জানিয়েছে দলটির নীতিনির্ধারকরা।
১। সংসদীয় আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে তা প্রথমে দেখতে চায় বিএনপি। আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী কোন আসনে মনোনয়ন পেল তা দেখার পর নিজেদের প্রার্থীর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চায় দলটি।
২। বিএনপির অনেক নেতার বিরুদ্ধেই নানা রকম মামলা আছে। মামলার কারণে একাধিক নেতার নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা দেওয়ার আগে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় বিএনপি।
৩। এখনই প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করার অন্যতম কারণ হচ্ছে, দলে বিদ্রোহী প্রার্থী সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা প্রশমিত করা। মনোনয়ন বঞ্চিত কেউ যাতে বিদ্রোহী প্রার্থী না হয় এবং দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিশেষ করে যুক্তফ্রন্ট বা অন্য কোনো দলের প্রার্থী না হতে পারে সেজন্যই চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণায় বিলম্ব করছে বিএনপি।
তাই মনোনয়ন নিশ্চিত করে ফেললেও আগামী ৮ ডিসেম্বরের আগে আসলেই বিএনপি থেকে কে প্রার্থী হচ্ছেন তা বোঝা সম্ভব হবে না। তবে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত যাঁদের মনোনয়ন দেওয়া হবে তাঁদের ইতিমধ্যেই দলের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।