নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ২২ নভেম্বর, ২০১৮
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গত অক্টোবরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। বিএনপি এই জোটের মূল দল হওয়া সত্ত্বেও ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক করা হয় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে। দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্বের সংকটে থাকা বিএনপি মূলত নেতা খুঁজতে ড. কামাল হোসেনের দ্বারস্থ হয়েছিল। কারান্তরীণ চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং লন্ডনে পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার বিকল্প হিসেবে বিএনপির সামনে তখন আবির্ভূত হয়েছিলেন ড. কামাল হোসেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট হয়ে নির্বাচন করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ঐক্যফ্রন্ট যদি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে তাহলে ড. কামাল হোসেন ভোটে দাঁড়াবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। ড. কামালের এই অভিমানের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিএনপির মনোনয়ন নির্ধারণের প্রক্রিয়া। প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল, বিএনপি দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন নির্ধারণ করবে ঐক্যফ্রন্টগতভাবে। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টগতভাবে না করে বিএনপি একাই নিজেদের প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করে ফেলেছে যা ড. কামাল হোসেন পছন্দ করেননি। এছাড়া আসন্ন নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট কত আসন পাবে বা ঐক্যফ্রন্টের কোন প্রার্থী কোন আসনে মনোনয়ন পাবেন তা এখন পর্যন্ত নির্ধারিত না হওয়ায় ড. কামাল অনেক অসন্তুষ্ট বলে জানা গেছে।
তবে ঐক্যফ্রন্ট সূত্রে জানা গেছে, ড. কামালের অভিমানের মূল কারণ বিএনপির মনোনয়ন কার্যাবলীতে তারেক জিয়ার উপস্থিতি। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সময় কথা হয়েছিল, তারেক জিয়া নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবেন না। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট গঠনের কিছুদিনের মধ্যেই তারেক বিএনপির নেতৃত্ব নিজের হাতে তুলে নেন। এমনকি স্কাইপের মাধ্যমে তিনি লন্ডনে বসে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন। এ ঘটনায় ড. কামাল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন যা ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন। এরপরই ড. কামাল ঘোষণা দেন, তিনি নির্বাচন করবেন না।
জানা গেছে, ড. কামালের মান ভাঙাতে এবং তাঁকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে রাজি করাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠকে বসবেন। ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকার গুলশান অথবা ধানমন্ডির আসনটি ড. কামাল হোসেনের জন্য রাখা হবে। মান ভাঙাতে ড. কামালকে অনুরোধ করে বলা হবে, তাঁকে কিছুই করতে হবে না, তিনি শুধু নির্বাচনে দাঁড়াবেন। নির্বাচনের সব দায়িত্ব নেবে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।