নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২২ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এখন বিএনপির নেতাদের মতো আচরণ করছেন। দলীয় অনেক বিষয়ে কী করতে হবে না করতে হবে সে বিষয়ে তিনি বিএনপি নেতাদেরও পরামর্শ দিচ্ছেন। জানা গেছে, মান্নার সঙ্গে এখন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক জিয়ার সরাসরি যোগাযোগ হচ্ছে। তারেকের নির্দেশের কথা বলে বিএনপির নেতাদের তিনি বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন।
গতকাল বুধবার মাহমুদুর রহমান মান্না বিএনপির এক সিনিয়র নেতাকে দলের নির্বাচনী ইশতেহার তাঁকে মেইল করতে বলেন। মান্না বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে কী থাকবে না থাকবে সে ব্যাপারে তারেক জিয়ার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। সে মোতাবেক ইশতেহারে তিনি কিছু সংযোজন-বিয়োজন করবেন। মান্নার এমন নির্দেশের কথা সেই সিনিয়র নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে জানান। একথা জানতে পেরে গতকালই গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ফোন করেন। ফোন করে তিনি বলেন, ‘আপনি তো যেখানে যান সেটা খেয়ে ফেলেন। আগে আওয়ামী লীগ খাইসেন, যুক্তফ্রন্ট খাইলেন, এখন আবার বিএনপি খাচ্ছেন। এই খাওয়া খাওয়ি বন্ধ করেন। বিএনপি আপনাকে ছাড়াই ভালো আছে। বিএনপি কী করবে না করবে সেটা আপনার ব্যাপার না। নিজের আসনটা আগে ঠিক করেন। বিএনপি কী করবে সে জ্ঞান আপনাকে দিতে হবে না।’
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।