নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের একটি টকশোতে নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এই অশ্লীল কটূক্তি করার অপরাধে রংপুরের একটি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হয় এবং ২২ অক্টোবর তিনি গ্রেপ্তার হন।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইতিমধ্যে একমাস অতিক্রান্ত হয়েছে। অথচ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের সঙ্গে দেখা করাতো দুরের কথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেউই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের খোঁজ খবর পর্যন্ত নেননা। এই সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭টি জনসভা করেছে। এই ৭টি জনসভার কোথাও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো নেতা তাঁর মুক্তির বিষয়ে একটি কথাও বলে নাই। এমনকি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যে আইনজীবী নেতারা আছেন এবং যেহেতু ড. কামাল হোসেন আইনজীবীদের শীর্ষ নেতা। তারপরেও আইনজীবীদের মধ্যে থেকেও মইনুল হোসেনের জামিনের জন্যে আবেদন বা উচ্চ আদালতে তাঁর মুক্তির বিষয়ে গণফোরাম বা জাতীয় ঐক্যফ্রণ্টের পক্ষ থেকে কোনো ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় নাই।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনও শীর্ষ নেতাতো নয়ই এমনকি কোনো স্থানীয় পর্যায়ের নেতাও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি এবং খোঁজ খবরও নেননি। সবচেয়ে বড় কথা হলো তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর দীর্ঘ এক মাসের মধ্যে তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া বিএনপি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি বাংলাদেশের নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মেজর হাফিজ সাকিব আল হাসান কিংস পার্টি ড. মঈন খান বিএনপি
মন্তব্য করুন
মো. সিদ্দিকুর রহমান আওয়ামী লীগ বিপ্লব বড়ুয়া সুজিত রায় নন্দী
মন্তব্য করুন
আবদুল আউয়াল মিন্টু তারেক জিয়া বিএনপি ২৮ অক্টোবর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের করা এই আবেদন এখন আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন যে, সচিব তাকে ফাইলটি পাঠিয়েছেন। এটি তিনি দেখছেন। আগামীকাল তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। আইনমন্ত্রী এও বলেছেন যে, এ ব্যাপারে পূর্বের সিদ্ধান্ত থেকে তিনি খুব একটা সরে আসবেন না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে কি ধোঁকা দিয়েছে—এরকম একটি প্রশ্ন এখন বিএনপির মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। বিএনপি নেতারা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনায় এই প্রসঙ্গটি বারবার আনছেন। বিএনপির একাধিক নেতা মনে করে, বিএনপি যে আগ্রাসী অবস্থান গ্রহণ করেছিল, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিএনপি কর্মীদের মধ্যে যে তেজি ভাব এসেছিল, তার প্রধান কারণ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব এবং আগ্রহ। তাছাড়া বিভিন্ন সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা কূটনীতিকরা বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যে ভাষায় যে ভাবে কথা বলেছেন তাতে বিএনপির নেতাদের মধ্যে স্থির বিশ্বাস জন্মগ্রহণ করেছিল যে, তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে চায় না। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম এজেন্ডা। আর এ কারণেই বিএনপি নেতারা এই বক্তব্যটিকে তাদের কর্মীদের কাছে সঞ্চারিত করেছিল এবং কর্মীরা উৎসাহিত হয়েছিল।
টানা ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। ১৬ বছরে পা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করা আওয়ামী লীগ। টানা ক্ষমতায় থাকলেও আওয়ামী লীগের মধ্যে ক্ষমতার কেন্দ্রে একটা ভারসাম্য লক্ষ্য করা যায়। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীদেরকে বিভিন্ন সময় পরিবর্তন করে একেক মেয়াদে একেক জনকে মন্ত্রী করেন এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে পরিবর্তন করে নেতাদের যেমন যোগ্যতা পরিমাপ করেন, ঠিক তেমনি তাদেরকে ক্ষমতাবান করেন।
নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে একশ কোটি টাকার বেশি উৎকোচ গ্রহণ করেছেন। সরকারের সঙ্গে দেন দরবার করছেন। কাকে কাকে আটক করতে হবে এবং কারা কারা বিএনপিতে বড় ধরনের আন্দোলন করতে চায়, সরকারের জন্য বিপজ্জনক সেই নামের তালিকা সরবরাহ করেছেন। কাদেরকে বাইরে রাখলে কোন সমস্যা নেই সে নামও জানিয়েছেন সরকারি দলের লোকজনকে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেন বিএনপি কোনো বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য আশ্বাসও দিয়েছেন। তার এই আশ্বাসের কারণেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অনেকটা নির্ভর অবস্থায় নির্বাচন করেছে এবং বিএনপি যথারীতি নির্বাচন প্রতিরোধে কোন বড় ধরনের সহিংসতা বা নাশকতা করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।