নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এক মামলার রায়ে জাতীয় সংসদের চিপ হুইপ আসম ফিরোজের ঋণখেলাপির পুন:তফসিল না করার জন্য সোনালী ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন। জানা যায় যে, পটুয়াখালী জুট মিলস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা রয়েছে এই চিপ হুইপের। ওই মালিকানাধীন জুট মিলস সোনালী ব্যাংকের ঋণ নিয়েছে। এই ঋণ ১৯ বার পুন:তফসিলিকরণ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি অনুযায়ী একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি তিনবারের বেশি ঋণ পুন:তফসিলিকরণ করতে পারে না। হাইকোর্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সিদ্ধান্তকে উদ্ধৃতি করে একজন রিট আবেদনকারী আ স ম ফিরোজকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য আদেশ চেয়ে রিট আবেদন করেন। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ যে আদেশ দেন, তাতে বলা হয় যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে পুন:তফসীলিকরণ না করার জন্য হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। রিট আবেদনকারী আইনজীবীরা বলছে এর ফলে আ স ম ফিরোজ নির্বাচনে অযোগ্য হবেন।
এই রায়ের ফলে শুধু আ স ম ফিরোজই নন। বহু ঋণখেলাপি এবার নির্বাচনের ঝুকিতে পড়বেন বলে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নেতৃবৃন্দের সূত্রে জানা গেছে। আওয়ামী লীগ থেকে রাজশাহীর সাংসদ এনামূল হক, যিনি এনা প্রপার্টিজের মালিক, যিনিও ঋণখেলাপি এবং পুন:তফসীলিকরণ করে নির্বাচন করার প্রক্রিয়ায় ছিলেন। এর ফলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ঢাকার একটি আসনে আসলামুল হক, তিনিও ঋণখেলাপি। তিনিও পুন:তফসীলিকরণের মাধ্যমে নির্বাচন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। এই রায় তাঁর নির্বাচনকেও হুমকির মুখে ফেলবে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন সাংসদ রয়েছেন, যারা পুন:তফসীলিকরন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ফলে যাদের নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিএনপির নেতা জয়নাল আবেদিন ফারুক , শহীদুল হক জামালসহ একাধিক নেতা ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে এই পুন:তফসিলের সুবিধা যদি না পান তাহলে নির্বাচন করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এই ঋণখেলাপির ইস্যুকে সামনে রেখেই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির উভয় দলই বিকল্প প্রার্থী রাখছেন। এই বিকল্প প্রার্থীদেরও প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।