নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮
বিএনপিতে যারা সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিল, তাঁদেরকে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। তবে এইসব সংস্কারপন্থীদের স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে। গত একসপ্তাহে বিএনপিতে সংস্কারপন্থীদের অবাঞ্ছিত করার ধুম পড়ে গেছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী যে সমস্ত সংস্কারপন্থী নেতা বিনপিতে ফিরে এসেছে, তাঁদের অন্তত ৩৫ জনকে নিজ নিজ এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা জহির উদ্দিন স্বপনকে বরিশালে নিষিদ্ধ এবং অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে, নওগাঁয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে আলমগীর কবীরকে, রাজশাহীতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে আবু হেনাকে, বগুড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সাবেক বিএনপি সাংসদ গোলাম মো. সিরাজকে, যশোরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে, বিএনপিতে যারা যারা সংস্কারপন্থী ছিল, তাদের বিরুদ্ধে প্রায় সব এলাকাতেই স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে এবং অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। এর ফলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন বিষয়ে নতুন সংকটে পড়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।