নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮
বিএনপির বিশ থেকে পঁচিশ জন প্রার্থী এবার কারাগার থেকে নির্বাচন করতে পারেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কিনা তা এখনো অনিশ্চিত। খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করার বিষয় আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করছে। তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারলেও, তাকে কারাগার থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। শুধু বেগম খালেদা জিয়াই নয় আরোও অন্তত বিশ থেকে পঁচিশ জন বিএনপি প্রার্থীকে কারাগার থেকেই নির্বাচন করতে হবে বলে বিভিন্ন সুত্রের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়।
কারাগার থেকে নির্বাচন করা বিএনপি নেতাদের তালিকায় আছে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। কুমিল্লার একটি আসন থেকে তাঁর নির্বাচন করার কথা ছিল। কিন্তু একটি মামলায় দণ্ডিত হয়ে তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। নির্বাচনের আগে যদি তিনি মুক্তি না পান, তাহলে তাকে কারাগার থেকেই নির্বাচন করতে হবে।
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহছানুল হক মিলন। তিনিও গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি যদি সহসাই মুক্তি না পান, তাহলে তাকেও কারাগার থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।
বিএনপির আরেকজন অন্যাতম তরুণ নেতা, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল। তিনিও একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। নির্বাচনের আগে তাঁর মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তিনি যদি মুক্তি না পান, তাহলে তাকে কারাগার থেকে নির্বাচন করতে হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত সহকারী এবং বিএনপির আরেক নেতা শিমুল বিশ্বাস। খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর, তিনিও গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। এখনো তাঁর মুক্তির কোনো উদ্যোগ এবং সম্ভাবনা নাই। তাঁর পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র কেনা হয়েছে। তিনি যদি মনোনয়ন পান। তারও কারাগার থেকে নির্বাচন করার সম্ভাবনা বেশি।
বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপির কারা কারা কারাগার থেকে নির্বাচন করবেন তাঁর একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই তালিকায় ৩০ থেকে ৩৫ জন হতে পারে বলে তাঁরা ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।