নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে তারেক জিয়াকে ইনডেমনিটি (দায়মোচন) দেয়া হবে। এর ফলে তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে যে সব দণ্ড রয়েছে, তা আইন করে স্থগিত করা হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচীতে এই প্রস্তাব সংযোজনের সুপারিশ করেছে বিএনপি। যদিও এই প্রস্তাব সমর্থন করেনি ঐক্যফ্রন্টের শরীক অন্যান্য দলগুলো। কিন্তু বিএনপি যেহেতু ঐক্যফ্রন্টের প্রধান দল, তাই তাদের বক্তব্যই ফ্রন্টে শেষ কথা হিসেবে বিবেচিত হবে বলেই মনে করছে বিএনপি। বিএনপি নেতা এবং প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহাবুব হোসেন বলেছেন, ‘সংসদে আইন পাশ করে এই দন্ড বাতিল করা যায়।’ আদালতের রায় সংসদ বাতিল করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে এডভোকেট মাহাবুব বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনই কিছু বিস্তারিত বলতে চাই না।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে যারা স্বপরিবারে হত্যা করেছিল, খন্দকার মোশতাক এবং জিয়াউর রহমান তাদের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। ঐ অধ্যাদেশের বলে আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচারের উর্ধ্বে রাখা হয়েছিল। ২০০১ সালেও বিএনপি জামাত জোট সরকার এসে ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ নামে এক অভিযান পরিচালনা করে। ঐ অভিযানে যারা বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলো তাদের দায়মুক্তি দেয়া হয়।
তারেক জিয়া একটি মানি লন্ডারিং মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক জিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দন্ডিত করে। আইন অনুযায়ী , ৩০ দিনের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপীল করার বিধান থাকলেও তারেকের পক্ষ থেকে তা করা হয়নি। কারণ, এ ধরনের আপীল করতে হলে, নিম্ন আদালতে আত্নসমর্পন করতে হয়। বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে জয়ী হয় এবং তারেক জিয়া যদি এখন দেশে ফেরেন, তাহলেও তাকে আপীল করার জন্য নিম্ন আদালতে আত্নসমর্পন করে জেলে যেতে হবে। কিন্তু তারেক জিয়া এটি চাননা বরং একটি অধ্যাদেশ বলে এই মামলাগুলোকে বাতিল করতে চান। যদিও যেকোন দন্ড রহিত করার সাংবিধানিক ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির আছে। কিন্তু এরকম দন্ড রহিত করতে গেলে দন্ডিতকে দোষ স্বীকার করতে হবে এবং ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এটা তারেক করবে না। আবার মানি লন্ডারিং মামলায় দন্ড রহিত করতে তাকে আপীল বিভাগে লড়তে হবে। যেটা হবে খুবই অনিশ্চিত। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ‘তারেক জিয়া কোনো আইনী প্রক্রিয়ায় যেতে আগ্রহী নন, বরং তিনি চান আইন করে তাঁর এবং তাঁর মায়ের বিচার বন্ধ করতে।’ এরকম ইনডেমনিটি দেওয়া যায় কিনা জানতে চাওয়া হলে সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এটা হবে তাহলে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আইনের লংঘন।’ বিএনপি নেতারা এসব সমালোচনার তোয়াক্কা করছে না বরং শুধু তারেক জিয়া নয় ২০০৭ সাল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সব মামলাগুলোই তাঁরা রাজনৈতিক হয়রানি মূলক মনে করছেন এবং জয়ী হলে সব মামলারই দায়মোচনই হবে তাঁদের প্রথম কাজ।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি বিদ্রোহ উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক
আনসার আলীসহ ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট
জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী। এক যুগ পার হলেও ইলিয়াস আলী জীবিত না মৃত সে খবর
কেউ দিতে পারেনি দীর্ঘ এই সময়ে।
তবে সিলেটের বিএনপি নেতারা মনে করেন,
ইলিয়াস সরকারের হেফাজতে অক্ষতই আছেন। তাকে ফিরে পেতে কেবল সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন।
নিখোঁজের ১২ বছর পূর্তিতে তাকে ফিরে পেতে গতকাল নানা কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট বিএনপি
ও অঙ্গ সংগঠন। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র পর সিলেটে গঠন করা হয় ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম
পরিষদ’। এ বছর ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’র কোনো কর্মসূচি না থাকলেও সমাবেশ, স্মারকলিপি
প্রদান এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। এক যুগেও ইলিয়াসের সন্ধান
না মিললেও হাল ছাড়েননি বিএনপি নেতারা।
তাদের ধারণা, ইলিয়াস আলী এখনো জীবিত
আছেন। ইলিয়াসের অবস্থান সম্পর্কে সরকার জ্ঞাত আছে। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ইলিয়াস
আলীর সন্ধান মিলছে না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগপূর্তির দিন গতকাল জেলা প্রশাসকের
মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট বিএনপি। এ ছাড়া বাদ আসর জেলা
বিএনপির উদ্যোগে হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনায় দোয়া
ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ইলিয়াসকে ফিরে পেতে বাদ জোহর একই মসজিদে দোয়া ও
মিলাদের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। স্মারকলিপি প্রদানের আগে গতকাল দুপুরে জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর
ধরে ইলিয়াস আলী ফেরার অপেক্ষায় আছেন সিলেটবাসী। ইলিয়াসের জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে সরকার
তাকে গুম করেছে।
ইলিয়াস নিখোঁজ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির
সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে তার সহধর্মিণী
হাই কোর্টে রিট করেছিলেন। কিন্তু সরকারের অদৃশ্য হস্তক্ষেপে এক যুগেও সেই রিটের শুনানি
হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় ইলিয়াস নিখোঁজের পেছনে সরকার জড়িত।
মন্তব্য করুন
খন্দকার মোশাররফ হোসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জন বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন