নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮
প্রত্যেকবার নির্বাচন এলেই একটা জোয়ারের কথা বলা হয়। এবারের নির্বাচনেও জোয়ার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় সুনিশ্চিত। আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হবে।’ তিনি আজ সংবাদ সম্মেলনে বলেন,‘ সমস্ত জরিপে প্রমানিত হয়েছে, আওয়ামী লীগের জয় সুনিশ্চিত। ‘
অন্যদিকে গতকাল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে, বিএনপির পক্ষে জোয়ার এসেছে। ‘
নির্বাচনের ঢামাডোল যখন শুরু হয়। তখন একটি দলের পক্ষে সুস্পষ্ট সমর্থন দেখা যায়। কিন্তু এবার নির্বাচনে এখন পর্যন্ত জনগনের মধ্যে অনিশ্চয়তা। জনগন কার পক্ষে তা নিয়ে নানা রকমের জল্পনা-কল্পনা চলছে। কিন্তু একটা বিষয় এবার নির্বাচনে স্পষ্ট। এবার নির্বাচনে সবচেয়ে বড় প্লেয়ার হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তার জনপ্রিয়তা নিয়ে কারও কোন প্রশ্ন নেই। এবার নির্বাচনে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি হচ্ছেন শেখ হাসিনা। নির্বাচনটি যদি সংসদীয় নির্বাচন না হত, যেমন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হত। তাহলে শেখ হাসিনা যে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হতেন, তাতে কোন সংশয়ই নেই। যেহেতু এটি সংসদীয় নির্বাচন এবং শেখ হাসিনা মাত্র দুটি আসনে নির্বাচন করবেন। তাই নির্বাচন শেখ হাসিনার একার উপর নির্ভরশীল নয়। তারপরও যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষন করেন কিংবা রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করেন। তারা মনে করছেন, নির্বাচনের জোয়ার তার পক্ষেই আসবে, যারা এই পুরো নির্বাচনের সময় একটা উত্তাপ ছড়াতে পারবে। সেই উত্তাপ ছড়ানোর ক্ষমতা একমাত্র শেখ হাসিনারই আছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন। তিনি যদি তার ক্যারিশমা বিচক্ষনতা এবং দূরদর্শিতা দিয়ে নির্বাচনে জনগনকে এটা প্রমান করতে পারেন, আওয়ামী লীগ আরেকবার ক্ষমতায় আসলে যে উন্নয়নের ধারার সূচনা হয়েছে। সেই ধারা অব্যাহত থাকবে। তাহলে এই নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের পক্ষেই জোয়ার আসবে। সেটা আওয়ামী লীগের পক্ষে জোয়ার নয়, সেটা শেখ হাসিনার পক্ষের জোয়ার। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্রান্ড এখন শেখ হাসিনা। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বাংলাদেশ যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেছে। তার প্রধান নায়ক হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তলাবিহীন ঝুড়ির দেশটি তারই বদৌলতে এখন বিশ্বের রোল মডেল, উন্নয়নের বিস্ময়। তিনি এই নির্বাচনে কিভাবে ক্রিয়াশীল হয়, নির্বাচনে কীভাবে ভূমিকা রাখে। সেটার উপর নির্ভর করছে এই নির্বাচনে কার পক্ষে জোয়ার আসবে। শেখ হাসিনা যদি এই নির্বাচনে পুরোপুরি অংশগ্রহন করতে পারেন এবং তিনি যদি নির্বাচনে সক্রিয় হন। তাহলে এই নির্বাচনের জোয়ার শেখ হাসিনার পক্ষেই আসবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।