নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৯ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮
ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টমেন্ট একাংশ) আসন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আসন বন্টন সমঝোতা ভেস্তে যেতে বসেছে। গতকাল দিনভর জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ঢাকা-১৭ আসন নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির ব্যাপক দেন-দরবার হয়েছে কিন্তু ঐ আসন নিয়ে জাতীয় পার্টি ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে কোন গ্রীন সিগন্যাল পায়নি। ক্ষুদ্ধ এরশাদ শুক্রবার দলের নেতা-কর্মীদের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, ঢাকা-১৭ আসন নিয়ে ফয়সালা না হলে জাতীয় পার্টি ৩শ আসনেই নির্বাচন করবে। জাতীয় পার্টি ঢাকা-১৭ আসনটিকে প্রেষ্ট্রিজ ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করছে। কোনভাবেই দলটি এ আসন ছাড়তে নারাজ। আবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও রাজধানীর ভিআইপি আসনটি শতভাগ তাদের কব্জায় রাখতে চায়। আওয়ামী লীগ কূটনৈতিক জোনের এ আসনটিতে নায়ক ফারুককে মনোনয়ন দিতে পারেন। ইতিমধ্যে নায়ক ফারুককে দলীয় মনোভাব জানিয়ে দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী নায়ক ফারুকও ঢাকা-১৭ আসনে প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এদিকে, ঢাকা-১৭সহ জাতীয় পার্টি ৬০টি আসন চেয়েছে আওয়ামী লীগের কাছে। জাতীয় পার্টি ৫৫টি তাদের দলীয় প্রার্থীদের জন্য রেখে বাকি ৫টি তাদের শরীক দলগুলোকে বরাদ্দ দেবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ জাপাকে সর্বোচ্চ ৪৫টির বেশি আসন দিতে নারাজ। গতকাল জাতীয় পার্টির মহাসচিব আসন বন্টন নিয়ে বেশ কয়েক দফা কথা বলেন ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে। তবে গভীর রাতে শেষবারের মত জাতীয় পার্টি একটি প্রস্তাব দিয়েছে আওয়ামী লীগকে। জাপার দেয়া সে প্রস্তাব নিয়ে এগুচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর পরই যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের আসন বন্টন সুরাহা করবে আওয়ামী লীগ। তবে একাধিক সূত্র জানায়, ১৪ দলের সাথে আওয়ামী লীগের আসন বন্টন বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে আছে। আর বিকল্পধারার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টকে সর্বোচ্চ ৩টি আসন দেয়া হতে পারে।
জাপার প্রভাবশালী এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, জাতীয় পার্টির চাহিদা অনুযায়ী আসন বরাদ্দ দেয়া না হলে ৩শ আসনেই নির্বাচন করার প্রস্তুতি রাখতে সকল প্রার্থীকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, ঢাকা-১৭ আসন কোনভাবেই ছাড় দিবে না জাতীয় পার্টি। দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ এ আসনেই নির্বাচন করবেন এটা চূড়ান্ত।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়া বিএনপি ব্রিটিশ দূতাবাস সারা কুক
মন্তব্য করুন
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল ঢাকাস্থ ব্রিটিশ দূতাবাসে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল ব্রিটিশ দূতাবাসে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক এক ঘণ্টার বেশি সময় তাদের সাথে বৈঠক করেন। এসময় ব্রিটিশ দূতাবাসে অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।