নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মনোনীত প্রার্থীদের ঠিকানায় চিঠি পাঠানো শুরু হয়। প্রার্থীদের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চমকে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
ঢাকা-১৩ আসন থেকে গত দুইবারের নির্বাচিত এমপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানককে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সাবেক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী নানকের পরিবর্তে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানকে এই আসনে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
নারায়ণগঞ্জ- ১ আসনে মহাজোটের পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রধান শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে এই আসনের বর্তমান এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মোট ৩২ জন নারায়ণগঞ্জ- ১ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র কিনলেও গোলাম দস্তগীরেই ভরসা রেখেছে দলের হাইকমান্ড। এরশাদকে প্রত্যাশিত আসনে মনোনয়ন না দেওয়ায় জোটের রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে গাজীপুর- ৪ আসনের সাবেক এমপি তানজিম আহমেদ সোহেল তাজও এবার নির্বাচন করছেন না। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁরই বোন সিমিন হোসেন রিমি।
ফরিদপুর- ৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ এবং এই আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মেয়ের জামাই মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। আওয়ামী লীগ বেছে নিয়েছে কাজী জাফরুল্লাহকেই। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালেও নিক্সনের পরিবর্তে জাফরুল্লাহকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু সে নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও কাজী জাফরউল্লাহকে হারিয়ে দিয়ে এমপি নির্বাচিত হন মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘোষণার দিনে আরেকটি চমক হয়ে এসেছে ঢাকা- ১ আসনের প্রার্থীর নাম। এতদিন মোটামুটি নিশ্চিত ছিল ঢাকা- ১ এর বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলামকেই এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হবে আবার। কিন্তু চূড়ান্ত মনোনয়নে দেখা গেল, এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা বিষয়ে শরিকদের বক্তব্য কী তা এখনও জানা যায়নি। তবে আগামী ৮ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত দলগুলো প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন আনতে পারবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন সূত্র।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।