নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪২ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮
আসন্ন নির্বাচনের জন্য আজ রোববার সকালে ২৩০ আসনে দলীয় প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ তালিকায় প্রায় সকল প্রত্যাশিত নাম থাকলেও মনোনয়ন পাননি আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক। ঢাকা- ১৩ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবারও এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বদলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানকে বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ হাই কমান্ড। হেভিওয়েট প্রার্থী কেন মনোনয়ন পেলেন না সে বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে অনেক রকম গুঞ্জন, অনেক ধরনের কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। তবে কয়েকদিন আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িতে হামলার ঘটনার সঙ্গে এ ঘটনার যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, গত ১৫ আগস্ট সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুরের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। নৈশভোজ থেকে ফেরার পথে তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। পরবর্তীতে নিজস্ব তদন্তে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলার ঘটনায় জাহাঙ্গীর কবির নানকের লোকজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছিল মার্কিন দূতাবাস।
গত ২ নভেম্বর দীর্ঘ চার বছর দায়িত্ব পালন শেষে যুক্তরাষ্টে ফিরে যান মার্শা বার্নিকাট। জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে হামলাতে নানকের লোকজনের জড়িত থাকার বিষয়টি অবহিত করেন তিনি। এটাই নানকের মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার কারণ বলে অনেকে মনে করছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।