নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০১ এএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮
বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকা এবং খ্যাতিমান অনেকেই এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ যে একটি বড় রাজনৈতিক দল তার প্রমাণ আবারও রাখল তারা। এসব খ্যাতিমান তারকার উল্লেখযোগ্য কেউ’ই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পায়নি। স্ব স্ব ক্ষেত্রে তাঁরা প্রতিষ্ঠিত, মহিমান্বিত কিন্তু মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাঁরা ফেল করলেন। এটা হয়তো তাঁদের জীবনের প্রথম ফেল।
এবার মনোনয়ন চেয়েছিলেন শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার। তিনি ফেনীর একটি আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু আসনটিতে মনোনয়ন পাননি তিনি।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দু-বারের উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত কুমিল্লার একটি আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তিনিও মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন।
আরেকজন খ্যাতিমান চক্ষু চিকিৎসক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হকও কিশোরগঞ্জ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও মনোনয়ন পাননি।
অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে পরিচিত একজন খ্যাতিমান আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহাবুবে আলম মনোনয়ন চেয়েছিলেন মুন্সিগঞ্জ। তিনিও মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
আমাদের শোবিজের অনেক তারকাই এবার মনোনয়ন চেয়েছিলেন। রোকেয়া প্রাচী, জ্যোতিকা জ্যোতি এদের অনেকেই মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু এদের কেউ’ই মনোনয়ন পাননি।
কাজেই আওয়ামী লীগের মনোনয়নের ক্ষেত্রে যেটা বারবার বলা হচ্ছিলো কে তারকা, কে কত বিখ্যাত সেটা বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হলো জনপ্রিয়তা। সেই জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতেই হয়তো তাঁরা বাদ পড়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।