নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০২ এএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮
সিইসি কে এম নুরুল হুদার প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে থাকার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি একথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এখন আওয়ামী লীগের পক্ষভূক্ত হয়েছেন। কাজেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে থাকার তাঁর আর কোনো অধিকার নেই। যেহেতু নির্বাচনে তাঁর একজন আত্মীয় অংশগ্রহণ করছে তাই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় নুরুল হুদার সিইসি পদে থাকা সংবিধানের লঙ্ঘন, আইনের লঙ্ঘন।‘
ড. কামাল হোসেন বাংলা ইনসাইডারকে আরও বলেন, ‘একজন নির্বাচন কমিশনার যখন শপথ গ্রহণ করেন, সেই শপথের মূল কথাই হলো তাঁকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। একের পর এক পক্ষপাতদুষ্ট বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তিনি।‘
কেন সিইসি পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তাও এখন দৃশ্যমান উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষনেতা বলেন, ‘সিইসির ভাগ্নে আওয়ামী লীগের হয়ে পটুয়াখালীর একটি আসন থেকে নির্বাচন করছেন। তাই তাঁর লক্ষ্যই থাকবে যে কোনো মূল্যে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করা। যেহেতু আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাঁর একজন আত্মীয় নির্বাচন করছেন তাই নির্বাচনে নুরুল হুদার দায়িত্ব পালন করার বা রেফারির ভূমিকা পালন করার কোনো সাংবিধানিক অধিকার নেই।‘
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।