নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮
আওয়ামী লীগ গতকাল রোববার ২৩০টি সংসদীয় আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। শরিকদের জন্য তারা ৭০ টি আসন সংরক্ষিত রেখেছে। তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে এখনো পর্যন্ত মহাজোটের শরিকদের চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি বলে জানা গেছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন। তার আগেই আওয়ামী লীগ শরিকদের সঙ্গে আপোষরফায় পৌঁছাতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির মধ্যে যে আসনগুলো নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সমঝোতা হয়নি এবং কোনো পক্ষই যে আসনগুলোতে ছাড় দিতে রাজি না এরকম কয়েকটি আসন বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে।
ঢাকা-১
ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগ বিশিষ্ট শিল্পপতি সালমান এফ. রহমানকে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন দিয়েছে। কিন্তু এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলাম। তিনি বর্তমানে জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির টিকেটে এমপি। ঢাকা-১ আসনটি জাতীয় পার্টি কোনোভাবেই ছাড় দেবে না বলে দলটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন। আরেকটি বড় বিষয় হলো, এই আসনে যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেই সালমা ইসলাম যুগান্তর এবং যমুনা টেলিভিশনের অন্যতম কর্ণধার। কাজেই এই আসনটি নিয়ে যে দরকষাকষি তার ফলাফল কি হবে তা এখনো অনিশ্চিত।
ঢাকা-১৭ ও নারায়নগঞ্জ- ১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ঢাকা-১৭ অথবা নারায়নগঞ্জ-১ এর যেকোনো একটি আসন দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু গতকাল রোববারের মনোনয়নে দেখা গেছে, ঢাকা-১৭ এবং নারায়নগঞ্জ-১ দুটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। নারায়নগঞ্জ-১ এ গাজী গোলাম দস্তগীরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা-১৭ আসনে আকবর পাঠান ফারুককে প্রার্থী ঘোষনা করা হয়েছে। এই দুটি আসনের মধ্যে একটি আসন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দিতেই হবে বলে দাবি করছে জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির মধ্যে এই দুটি আসন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ফয়সালা হয়নি বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম-৯
চট্টগ্রাম-৯ আসনে আওয়ামী লীগ দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে। কিন্তু এই আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। সেক্ষেত্রে তাকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐক্য কতটুকু টিকবে তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। এ অবস্থায় এই আসনটি নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির মধ্যে চুড়ান্ত দরকষাকষি চলছে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, যাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাদেরকে বললেই তারা দলের স্বার্থে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন। আমাদের সামনে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে। এরমধ্যে মহাজোটগতভাবে যেকোনো সিদ্ধান্ত যদি আমরা নেই, সেটা দলের সকলের জন্য মানা বাধ্যতামূলক।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
বিএনপি জনপ্রিয় নেতা কর্নেল অলি আহমদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।