নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪২ এএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮
আওয়ামী লীগ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনীত প্রার্থীদেরকে চিঠি দিতে শুরু করেছে দলটি। এপর্যন্ত পাওয়া খবরে ২৬ টি আসনে নতুন মুখ দেখা গেছে। এর ফলে ২৬ জন বর্তমান সংসদ সদস্য বাদ পড়ছেন এই মনোনয়নের দৌড়ের যুদ্ধে।
গতকাল রোববার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই কার্যক্রম শুরু করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দল মনোনীত ২৩০ প্রার্থীকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।কোনও কোনও আসন বিকল্প হিসাবে ২ জন অথবা ৩ জনকেও চিঠি দেওয়া হচ্ছে। তবে, প্রত্যাহারের সময় এ ধরনের আসনগুলোয় প্রার্থী নির্দিষ্ট হবে।
এদিকে, ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান আর বাদ পড়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।
টাঙ্গাইল-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আতাউর রহমান খান আর বাদ পড়েছেন তার ছেলে আমানুর রহমান রানা।
টাঙ্গাইল-৬ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আহসানুল ইসলাম টিটু বাদ পড়েছেন আব্দুল বাতেন। টিটু আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সাংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের ছেলে।
নওগাঁ-৫ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল জলিলের ছেলে নিজামুদ্দিন জলিল জন। এর আগে ছিলেন আব্দুল মালেক।
নেত্রকোনা-২ আসনে বাদ পড়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় আর মনোনয়ন পেয়েছেন আশরাফ আলী খান খসরু।
নীলফামারী-৩ আসন জোটের শরীকদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর বাদ পড়েছেন গোলাম মোস্তফা।
মাগুরা-১ আসন থেকে বাদ পড়েছেন এ টি এম আব্দুল ওয়াহাব আর মনোনয়ন পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস সাইফুজ্জামান শিখর।
খুলনা-২ আসনে বাদ পড়েছেন মিজানুর রহমান আর মনোনয়ন পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল।
খুলনা-৬ আসন থেকে বাদ পড়েছেন শেখ মোহাম্মদ নুরুল হক এবং মনোনয়ন পেয়েছেন আক্তারুজ্জামান বাবু।
বাগেরহাট-২ আসনে সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলীর বাদশার পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজা শেখ তন্ময়।
পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে সাবেক বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেইন এর স্থানে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশানারের ভাগিনা এ এস এম শাহাজাদা।
পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়ালের স্থানে মনোনয়ন পেয়েছেন স ম রেজাউল করিম।
মাদারীপুর-৩ আসনে সাংসদ আ ফ ম বাহার উদ্দিন নাছিমের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।
শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক এর পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কার্য নির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন অপু।
শরীয়তপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সম্পাদক এনামুল হক শামীম আর সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী বাদ পড়ে গেছেন।
পাবনা -২ আসনে খন্দকার আজিজুল হক আরজুর পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন আহমেদ হক শামীম।
কিশোরগঞ্জ-২ আসনে সোহরাব উদ্দিনের পরিবর্তে পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার-৪ আসনে আলোচিত সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির স্থানে তার স্ত্রী শাহীন আক্তারকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এর পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সচিব মঞ্জুর হোসেন বুলবুল।
নরসিংদী-৩ আসনে সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লাকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে জহিরুল হক ভূঁইয়াকে।
নড়াইল-২ আসনে ওয়ার্কাস পার্টির শেখ হাফিজুর রহমানের বদলে মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
সিরাজগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য গাজী আমজাদ হোসেন মিলনের বদলে মনোনয়ন পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আজিজ।
কুষ্টিয়া-৩ থেকে আব্দুর রুউফের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন সেলিম আলতাফ জর্জ।
চট্টগ্রামের-৯ আসনে জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন বাবলুর পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুর রহমান নওফেল।
সিলেটে-১ আসনটিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের পরিবর্তে তার ছোট ভাই এ কে এম আবুল মোমেনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজার-৩ আসনে সায়মা মহসিনের বদলে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে নেছার আহমেদকে।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।