নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৮ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮
বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণা হচ্ছে আজ। আর মনোনয়নে ঘোষণার শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে সংস্কারপন্থীদের জয়জয়কার। এখন পর্যন্ত বিএনপি যে মনোনয়ন দিয়েছে, সেখানে রাজশাহী ৪ এ আবু হেনা, বরিশালে জহির উদ্দীন স্বপন, কুমিল্লা-৭ থেকে রেদওয়ান আহমেদ, ভোলা-৩ থেকে হাফিজউদ্দিন আহমেদসহ অনেকেই সংস্কারপন্থীই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন।
বিএনপির দু:সময়ে যারা যারা দল ছেড়ে সুবিধা ভোগ করেছেন, এখন তারাই মনোনয়ন পাচ্ছেন। অপরদিকে গত ১০ বছর ধরে বঞ্চিত থাকা, ত্যাগ স্বীকার করা নিবেদিত কর্মীরা মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ নিয়ে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা গেছে।
ওয়ান ইলেভেনের সময় বিএনপির নেতৃত্ব থেকে জিয়া পরিবারকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকা অভিযোগ দলটির সংস্কারপন্থীদের বিরুদ্ধে। এ কারণে বিএনপির চেয়ারপারসন ওয়ান ইলেভেন শেষে মুক্তি পাওয়ার পর প্রায় সব সংস্কারপন্থীকেই দল থেকে বের করেন। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই সংস্কারপন্থীদের আবির্ভাব হয় বিএনপির আলোচনাগুলোতে। শেষ পর্যন্ত দলের মনোনয়নপত্র নেওয়ারও সুযোগ পান তাঁরা। এরপর বিএনপির মনোনয়ন সাক্ষাৎকারেও দাপট দেখা যায় সংস্কারপন্থীদের। আর লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে স্কাইপি সাক্ষাৎকারেও সংস্কারপন্থীদের ব্যাপারে আগ্রহ দেখান। তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল বিএনপির সংস্কারপন্থী ও দল থেকে বহিস্কৃত অনেকেই হয়তো মনোনয়ন পাবেন। ওই ধারণই আজ বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণায় সত্যি হলো। পুরো মনোনয়ন তালিকা ঘোষণার পর সংস্কারপন্থী মনোনয়ন প্রাপ্তের সংখ্যা কত দাঁড়ায় তাই এখন দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি বিদ্রোহ উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক
আনসার আলীসহ ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট
জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী। এক যুগ পার হলেও ইলিয়াস আলী জীবিত না মৃত সে খবর
কেউ দিতে পারেনি দীর্ঘ এই সময়ে।
তবে সিলেটের বিএনপি নেতারা মনে করেন,
ইলিয়াস সরকারের হেফাজতে অক্ষতই আছেন। তাকে ফিরে পেতে কেবল সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন।
নিখোঁজের ১২ বছর পূর্তিতে তাকে ফিরে পেতে গতকাল নানা কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট বিএনপি
ও অঙ্গ সংগঠন। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র পর সিলেটে গঠন করা হয় ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম
পরিষদ’। এ বছর ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’র কোনো কর্মসূচি না থাকলেও সমাবেশ, স্মারকলিপি
প্রদান এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। এক যুগেও ইলিয়াসের সন্ধান
না মিললেও হাল ছাড়েননি বিএনপি নেতারা।
তাদের ধারণা, ইলিয়াস আলী এখনো জীবিত
আছেন। ইলিয়াসের অবস্থান সম্পর্কে সরকার জ্ঞাত আছে। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ইলিয়াস
আলীর সন্ধান মিলছে না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগপূর্তির দিন গতকাল জেলা প্রশাসকের
মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট বিএনপি। এ ছাড়া বাদ আসর জেলা
বিএনপির উদ্যোগে হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনায় দোয়া
ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ইলিয়াসকে ফিরে পেতে বাদ জোহর একই মসজিদে দোয়া ও
মিলাদের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। স্মারকলিপি প্রদানের আগে গতকাল দুপুরে জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর
ধরে ইলিয়াস আলী ফেরার অপেক্ষায় আছেন সিলেটবাসী। ইলিয়াসের জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে সরকার
তাকে গুম করেছে।
ইলিয়াস নিখোঁজ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির
সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে তার সহধর্মিণী
হাই কোর্টে রিট করেছিলেন। কিন্তু সরকারের অদৃশ্য হস্তক্ষেপে এক যুগেও সেই রিটের শুনানি
হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় ইলিয়াস নিখোঁজের পেছনে সরকার জড়িত।
মন্তব্য করুন
খন্দকার মোশাররফ হোসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন