নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৮ পিএম, ২৭ নভেম্বর, ২০১৮
আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে ইতিমধ্যেই দলত্যাগ করে গণফোরামে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক তিন নেতা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, গোলাম মাওলা রনি এবং প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মনোনয়ন বঞ্চিতদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অবশ্য বলেছেন, এই ধরনের দলছুটদের দলত্যাগে আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি হবে না। যাঁরা মনোনয়ন না পেয়ে অন্য দলে যাবে তাঁরা আদর্শচ্যুত হয়েই অন্য দলে যাবে। তাই আওয়ামী লীগের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, যাঁরা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন তাঁদের অনেকের সঙ্গেই একাধিক দল বিশেষ করে গণফোরাম যোগাযোগ করছে। গণফোরাম তাঁদেরকে মনোনয়ন দেওয়াসহ নানা ধরনের টোপ দিচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ, সম্পর্ক ও নেটওয়ার্ক বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ উদ্দেশ্যে এলাকায় জনপ্রিয় কিন্তু মনোনয়ন পাননি এমন নেতাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জানা গেছে, তালিকায় দলের একাধিক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম উঠে এসেছে।
যে নেতাদের জনপ্রিয়তা ছিল কিন্তু মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছে তাঁদের ব্যাপারে মূলত দুটি কথা মাথায় রেখে যোগাযোগের উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
প্রথমত, তাঁরা যাতে হতাশ হয়ে না পড়ে।
দ্বিতীয়ত, হতাশ হয়ে যেন দল পরিবর্তন না করে।
এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলছেন, ‘কীভাবে দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হয় সে ব্যাপারে জাহাঙ্গীর কবির নানক আমাদের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যাঁরা মনোনয়ন বঞ্চিত তাঁদের সবাইকে জাহাঙ্গীর কবির নানকের ধারায় নিয়ে আসাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
ইতিমধ্যেই মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং তাঁদের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার থেকেই যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।