নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৭ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের যে সব হেভিওয়েট নেতারা এবার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন তাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকই প্রথম যিনি তাঁর প্রতিপক্ষের পক্ষে অবস্থান করলেন। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা ও সাংসদ দলের মনোনয়ন পাননি। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক (শরীয়তপুর-১), আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম (মাদারীপুর-৩), আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান (ফরিদপুর-১) মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু এদের মধ্যে কেউই এখনও পর্যন্ত তাঁর নিজ দলের প্রতিদ্বন্দ্বী, ইতিমধ্যেই যিনি দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁর পক্ষে দাঁড়াননি। জাহাঙ্গীর কবির নানকই সর্বপ্রথম যিনি তাঁর দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী সাদেক খানের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেইসঙ্গে নিজেদের মধ্যে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে নৌকার পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাদেক খানকে সমর্থন জানান নানক। এসময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে নানক বলেন, ‘আমি যেদিন থেকে এ এলাকার সংসদ সদস্য হয়েছি, সেদিন থেকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে গিয়েছি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এবার নৌকা তুলে দিয়েছেন সাদেক খানের হাতে। তাই সব ভেদাভেদ ভুলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ দেশকে রক্ষার স্বার্থে, নৌকার স্বার্থে আমাদের এক হতে হবে। কারণ নৌকার বিজয় ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।’
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই জাহাঙ্গীর কবির নানকের এই বার্তা ও তাঁর আবেগঘন ভাষণের ভিডিও ফুটেজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছেছে। নানকের ভাষণে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, নানকের বক্তব্যে আপ্লুত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেও।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি জনপ্রিয় নেতা কর্নেল অলি আহমদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।